অনুব্রতকে জামিন দিতে হবে নচেৎ বিচারকের পরিবারকে গাঁজা কেসে ফাঁসানোর হুমকি
টিভি ২০ বাংলা ডেস্ক :- অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের জন্য খুব শীঘ্রই আবেদন জানাবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তার আগেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের দাবী জানিয়ে আসানসোলের সিবিআই এর বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে বিস্ফোরক এক চিঠি পাঠানো হল। চিঠিতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের দাবী জানানো শুধু নয় রীতিমতো বিচারককে হুমকি দেওয়া হয়েছে, চিঠিতেও লেখা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন না দিলে বিচারক সহ তার পরিবার শুদ্ধ গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। জনৈকট বাপ্পা চ্যাটার্জি নামে এক ব্যক্তির পাঠানো এই চিঠিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে আদালত চত্বরে।
চিঠিতে বাপ্পা চ্যাটার্জির নামে লেখা রয়েছে যে তিনি হলেন পূর্ব বর্ধমান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের হেড ক্লার্ক এবং তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব বর্ধমান ইউনিটের সহ-সম্পাদক। চিঠিতে আরো লেখা রয়েছে বিচারকের কাছে আবেদন করা হচ্ছে তিনি যেন অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করেন। অন্যথায় বিচারকের পরিবার গাঁজা কেসের সম্মুখীন হবে। প্রসঙ্গত গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার আবার আসানসোল কোর্টে হাজিরা দিতে নিয়ে আসা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। ঠিক তার হাজিরার আগেই বিচারকের কাছে পাঠানো এই বিস্ফোরক চিঠি নিয়ে তোলপাড় আদালত চত্বর। সিবিআই এর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী গত ২০শে আগস্ট এই হুমকি চিঠিটি পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। সোমবার আসানসোলের জেলা জজকেও চিঠি সম্পর্কিত বিষয় অবহিত করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রেজিস্টার জেনারেলকেও এই হুমকি চিঠির প্রসঙ্গে অবহিত করেছেন। প্রসঙ্গত অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের পর বীরভূমের দুই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছিলেন অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে, যে একটি কন্টাক্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে 5 কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল তাদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন এবং একটি দামি গাড়িও অনুব্রত মণ্ডল আটকে রেখেছিলেন। যে গাড়িটি কিছুদিন আগে পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে সেই গাড়িটি ফেরত চাইলে ওই ব্যবসায়ীকে অনুব্রত মণ্ডল ধমকি দিয়ে বলেছিলেন “গাড়ি নিবি না গাঁজা কেস খাবি”। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে প্রেরণ করা জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ওই ধমকি চিঠিতেও সেই গাঁজা কেসের উল্লেখ থাকায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
কিছু আইনজীবীদের মতে এই চিঠি সত্য হলে সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আবার কিছু আইনজীবী গাঁজা কেসের উল্লেখ থাকায় চিঠির বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বাপ্পা চ্যাটার্জি নিজে পাঠিয়েছেন না তার নাম করে অন্য কেউ পাঠিয়েছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে রাজ্যে যখন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তৎপর ঠিক সেই সময় সিবিআই এর বিশেষ আদালতের বিচারককে হুমকি দিয়ে চিঠি,তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একথা মানছেন ওয়াকিবহাল মহল।।