ওয়েব ডেস্ক : বাবার কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একটা সময় মনে হয়েছিল পড়াশোনা কীভাবে চালানো যাবে! তবে সে থেমে থাকেনি, তার জেদের উপর দাঁড়িয়ে এবং মা বাবার অদম্য চেষ্টা ও ইছাতেই শ্রীরামপুর হলিহোম স্কুলের ছাত্রী মেহেলী ঘোষ দেশের মধ্যে আই এস সি তে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তার এই রেজাল্টে পরিবার থেকে প্রতিবেশী সকলেই খুব খুশি।
আই এস সি তে এবার প্রায় এক লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জন প্রথম, ৫৮ জন দ্বিতীয় এবং ৭৮ জন তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। মেহেলী জানিয়েছে সে ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে খুবই খুশি হয়েছে, যদিও সে এতটাও আশা করেনি। তার বিষয় ছিল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক এবং বায়োলজি। সে পরবর্তীতে কলকাতার কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস করতে চায়। সে ডাক্তার হয়ে তার মা বাবার পাশে দাঁড়াতে চায়। এছাড়াও বই পড়া, বাগান পরিচর্যা তার হবি ছিল। এর পাশাপাশি ডানকুনির ভাদুয়ার বাসিন্দা অজিত ঘোষ ( মেহেলীর বাবা ) তিনি তার মেয়ের সাফল্যে খুবই আনন্দিত। তিনি এক ব্যাটারী কারখানায় কাজ করতেন, আগুন লেগে দুর্ঘটনার পর গত এক বছর ধরে তিনি সম্পূর্ণ বেকার। তাঁর স্ত্রী দীপা দেবী গৃহবধূ। এত অভাবের মধ্যেও তিনি তাঁর মেয়ের পড়াশোনায় কোনো কমতি রাখেননি, মেহেলীর মাসি মালা ঘোষাল রিষড়া খটির বাজারে থাকেন, তিনি তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন। সাবমিলিয়ে পরিবার এর সবাই মেয়ের রেজাল্টে খুবই খুশি, বলা যায় তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম বৃথা যায়নি। এখন তাঁরা চিন্তায় আছেন যে ডাক্তারিতে সুযোগ পেলে সেই পড়ার খরচ নিয়ে।
মেহেলীর এই সাফল্যে খুশি শ্রীরামপুর হলিহোম স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার আরও সাফল্য কামনা করেছেন।