সালানপুর / মাইথন, কাজল মিত্র:- সোমবার এক দিনের সফরে ডিভিসি মাইথনে পৌঁছালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কৃষাণ লাল গুজ্জর। এদিন তিনি সবার প্রথমে মাইথনের গোগনা গ্রাউন্ডে পৌঁছালে ডিভিসি এর তরফে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি পুরো ডিভিসি পরিদর্শন করেন এবং সব ধরনের তথ্য নেন। একই সাথে মাইথন এলাকায় বৃক্ষরোপণও করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী শ্রী গুজ্জর বলেন যে DVC হল ভারত সরকারের অধীনে একমাত্র কর্পোরেশন, যেটি সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। গত বছর ডিভিসি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। ৪৮৪ লাখ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ডিভিসি বিদ্যুত উত্পাদনের সাথে সাথে পাওয়ার ট্রান্সমিশনও করে। ঝাড়খণ্ডে বিদ্যুৎ কাটা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।
এটা রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে কেন্দ্রকে দোষারোপ করার কাজ করে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই, তার জন্য অর্থ প্রদান করুন এবং বিদ্যুৎ পান। তাছড়া এদিন তিনি ভারত সরকার আপডেট পেতে তার সমস্ত কর্পোরেশন পরিদর্শন করে। জ্বালানি খাতে কীভাবে কাজ চলছে, কী গতিতে চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ। এটাই আজকের সফরের উদ্দেশ্য। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একমাত্র লক্ষ্য প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। দুই দিকেই কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের শাসনভার আসার পর থেকে বিদ্যুৎ খাতে নজিরবিহীন কাজ হয়েছে। বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ১২ ঘণ্টা, শহরে পাওয়া যাচ্ছে ২২ ঘণ্টা। ডিভিসির সফর আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়, নির্বাচনী আচরণবিধির প্রশ্নে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, তাঁর পৌর এলাকায় যাওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়।
এক দিনের সফরে ডিভিসি মাইথনে পৌঁছালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কৃষাণ লাল গুজ্জর।
স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রচারে নামলেন ভারতীয় জনতা পার্টি।
তিনি কোনো নির্বাচনী ভাষণ দিচ্ছেন না এবং কোনো ধরনের লঞ্চ বা উদ্বোধনও করছেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্যে আসা নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয় হয়ে ওঠে না। শেষ পর্যন্ত, তিনি বলেছিলেন যে ঝাড়খণ্ডের সাথে কোনও ধরণের বৈষম্য করা হচ্ছে না। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, নিসার বিধায়ক অপর্ণা সেন গুপ্তা এবং ডিভিসি চেয়ারম্যান রাম নরেশ সিং।