শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর:-করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ থাকা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে অবশেষে প্রায় ২২ মাস পর আজ ফের বেজে উঠল ঘন্টা, কচিকাঁচাদের গলায় শোনা গেল জনগণমন অধিনায়ক জয় হে গানের সুরও। কোভিদ বিধি মেনে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং থার্মাল গানের ব্যবস্থা করেছিল জেলার স্কুল কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু এত কিছুর পরেও পড়ুয়াদের দিক থেকে সাড়া পাওয়া গেল না তেমন ভাবে। প্রথম দিনের উপস্থিতির হার মোটেও আশাব্যঞ্জক ছিল না। আজকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর মেদিনীপুর সহ ঘাটাল, খড়গপুর সহ অন্যান্য মহকুমা শহর গুলির স্কুল গুলিতে উপস্থিতির হার কিছুটা বেশি হলেও গ্রামাঞ্চলের স্কুল গুলিতে উপস্থিতির হার একেবারে তলানির দিকে। তবে শিক্ষকদের একাংশের মতে সরস্বতী পুজোর আগেই স্কুল খোলা হয়েছে তাই হয়তো স্কুলে আসতে কিছুটা অনীহা দেখা দিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ।
পুজোর পরে এই চিত্রটা নাও থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির বাড় বাড়ন্তের জেরে স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। পরবর্তীকালে কয়েকবার সরকারি তরফে স্কুলগুলি খোলার চেষ্টা করা হলেও সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পিছু হঠতে হয়েছে শিক্ষা দপ্তরকে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হলেও ওমিক্রন এর প্রাদুর্ভাব এর কারণে ফের বন্ধ করতে পঠন পাঠনের কাজ। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে শিক্ষা মন্ত্রী সম্প্রতি নির্দেশ দেন চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে কোভিড বিধি মেনে শুরু করা হবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের কাজ স্কুলগুলিতে। সরস্বতী পুজোর আগে স্কুলগুলি চালু করে পড়ুয়া মহলে নতুন বার্তা দিতে চাইল রাজ্য সরকার। তবে জেলাজুড়ে আজকের পড়ুয়াদের উপস্থিতি কার্যতই ইঙ্গিত দিচ্ছে স্কুলে আসার অভ্যাস হারিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
করোনা বিধি কে মান্যতা দিয়ে খোলা হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি স্কুল
ঘাটাল যোগ্যতা সৎসঙ্গ শ্রীযুক্তেশ্বর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক গৌরীশংকর বাগ বলেন ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল চালু হচ্ছে এই বার্তাটা আমরা ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিভিন্নভাবে পৌঁছে দিয়েছিলাম। সমস্ত শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও আজকে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার খুবই কম। সরস্বতী পুজোর ঠিক আগেই স্কুল চালু হওয়ার কারণে হয়তো উপস্থিতিতে একটু ভাটা দেখা দিয়েছে। আজকে যারা এসেছে তাদের মাধ্যমে আমার বাকিদের কাছেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সোমবার থেকে আশা করছি এই চিত্রটা কিছুটা হলেও বদলাবে। তবে দীর্ঘদিন লকডাউন এবং অনলাইনে ক্লাস করে অভ্যস্ত হয়েপড়া পড়ুয়ারা কিছুটা হলেও যে স্কুলে আসার অভ্যাস হারিয়েছে এমনটা এক বাক্যে স্বীকার করছে ওয়াকিবহাল মহল।