Wednesday, November 19, 2025
- Advertisement -

পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত এলাকায় পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ শিবরের আয়োজন “মানবতা”

- Advertisement -

পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত এলাকায় পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ শিবরের আয়োজন “মানবতা”

বাইজিদ মন্ডল নিউজ ডেস্ক :-  লালগোলা থানার অন্তর্গত তারানগর আজ পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত। গত কয়েক মাস ধরে অবিরাম নদী ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বসতভিটে, চাষযোগ্য জমি ও ফসলের ক্ষেত। শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। চোখের সামনে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ।

এই কঠিন সময়ে এক ঝলক আশার আলো দেখিয়েছে কলকাতা-ভিত্তিক দক্ষিণ

চব্বিশ পরগনা সমাজসেবী সংগঠন ‘মানবতা’। সংস্থার একদল সদস্য এদিন তারানগরে এসে প্রায় ১২০টি অসহায় পরিবারের হাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্থানীয় বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও শিক্ষক ও সমাজকর্মী মাসুদ হাসান

মানবতা’ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী পিয়াদা বলেন,“এই মানুষগুলো আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আমরা শুধু ত্রাণ নয়, মানবিকতার বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছি। এখন সরকারের উচিত দ্রুত স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। শুধু সাময়িক সাহায্যে সমস্যার সমাধান হবে না। বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষক জহির উল ইসলাম, যিনি এদিনের ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তিনি বলেন, গত দুই মাস ধরে নদীভাঙনে এই এলাকা একেবারে বিপর্যস্ত। অসংখ্য পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে।

এমন দুঃসময়ে ‘মানবতা’ সংস্থার পাশে দাঁড়ানো সত্যিই এক অনুকরণীয় উদ্যোগ। আশা করি, অন্যান্য সমাজসেবী সংগঠনও এই দৃষ্টান্ত থেকে অনুপ্রাণিত হবে। শিক্ষক ও সমাজকর্মী মাসুদ হাসান বলেন,এলাকার মানুষ এখন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নদীর গতি রোধে বাঁধ নির্মাণই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। প্রশাসন যদি এখনই উদ্যোগ না নেয়, আরও বড় বিপর্যয় ঘটবে।

গ্রামবাসীদের কথায়, আজকের দিনে ‘মানবতা’র এই উদ্যোগ অন্তত কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে তাদের জীবনে। পদ্মার তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়া জীবনের মাঝে এই ছোট্ট মানবিক সহায়তা যেন একটুখানি আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দিল।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী পিয়াদা, সাহিত্যিক ও শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, শিক্ষক ও সমাজকর্মী মাসুদ হাসান, মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক টিপু সুলতান, ঝাড়গ্রাম আদালতের কর্মচারী সেখ নাবিউল, সুরাইয়া পিয়াদা প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments