পশ্চিম বর্ধমান,মিঠুন মন্ডল, পাণ্ডবেশ্বর:- আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি, তাই ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধের চাপান উতোর। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ঘরে ঘরে প্রচারের সময়, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতা ও সমর্থকরা মুখোমুখি হওয়ার কারণে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের বহুলা গ্রামের 99 এবং 100 নম্বর বুথে, বিজেপি কর্মী ও বিধায়করা ভোটারদের কাছে বিজেপির অগ্নি মিত্র পালকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছিলেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক ও নেতারা এসে একে অপরের দিকে স্লোগানের পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে। তার ফলে কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা বাড়তে থাকে ।পাণ্ডবেশ্বরের বহুলায়,পাণ্ডবেশ্বরের বহুলায়
পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্ত হয়, যার মধ্যে বিজেপির শালতোদার বিধায়ক চন্দনা বাউরি, বিজেপির খানকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ এবং স্থানীয় বিজেপি নেতা পিনাকী মিশ্রের ঘরে ঘরে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির খানকুলর বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেছেন যে আমাদের ঘরে ঘরে প্রচারের সময়, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ও স্লোগান তুলেছিল এবং আমাদের প্রচারে বাধা দেয়। ডোর টু ডোর প্রচারণার মাধ্যমে আমরা যেভাবে সাধারণ জনগণের সাড়া পাচ্ছি, প্রত্যেক ভোটার ভোট দিতে পারলে এই নির্বাচনে অগ্নি মিত্র পাল ৩ লাখ ভোটে জয়ী হবেন। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসিত বাউরি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বহুলার ৯৯ ও ১০০ নম্বর বুথে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডোর টু ডোর নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিল ।
পাণ্ডবেশ্বরের বহুলায় ডোর টু ডোর ক্যাম্পিং চলাকালীন বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান।
এমন সময় হঠাৎ সেখানে বিজেপির লোকজন এসে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনি প্রচারে অকারনে বাধা দেওয়া শুরু করে, বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। তিনি আরও বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট কিনে জিতেছিল কিন্তু এবার সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে, তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে এবং এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে। তিন লাখের বেশি ভোটে।