দেবাশীষ গুছাইত, হাওড়া :- পুত্র শোকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকর ঠাঁই হতে চলেছে সরকারি হোমে। ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারেন নি ওই মহিলা মিনতি সূত্রধর। ছেলে চলে যাওয়ার পরই মানসিক ভারসাম্য হারান বছর একান্নর মিনতি। ছেলের খোঁজে এর আগেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেছেন তিনি এমনটাই তার পরিবার সূত্রের খবর। রাস্তায় লোকের সাহায্যে আবার ফিরে এসেছেন বাড়িতে। এবারেও আবার একই ঘটনা ঘটলো। বাড়ি থেকে সকলের অজান্তেই বেরিয়ে পড়েন মিনতি সূত্রধর। সুদূর কোচবিহারের দিনহাটা থেকে বাসে চেপে বসেন। বাসের কন্ডাক্টর তাকে নামিয়ে দেন হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে। সেখানে তাকে দীর্ঘ এত সময় ধরে বসে থাকতে দেখে কৌতুহল হয় ওই সাঁতরাগাছি ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকদের।
তারা এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনা। তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় কোভিডের প্রথম ভ্যাক্সিনের প্রমান পত্র। আর সেই প্রমান পত্রের সূত্র ধরেই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। মিনতি দেবীর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাঁতরাগাছি কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা খোঁজ নেন দিনহাটা থানার সঙ্গে। তাদের থেকে মিনতি দেবীর দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখে সাঁতরাগাছি কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। তবে পরিবারের সদস্যদের তাকে ফিরিয়ে আনতে অনীহা রয়েছে বলেই পুলিশ আধিকারীকেরা বুঝতে পারে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। তাকে শুক্রবার রাতে থানাতেই থাকার ও রাত্রে তার খাওয়ার ব্যবস্থা করে থানার আধিকারীকেরা। এরপরই তাকে স্থানীয় হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় থানার পক্ষ থেকে।
পুত্র শোকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকর ঠাঁই হতে চলেছে সরকারি হোমে ।
সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিলে হাতে তুলে নিতে হবে তৃণমূলের ঝাণ্ডা, এমনই অডিও ভাইরাল তৃণমূল নেতার ।
সেই আজকে সকালে তাকে হাওড়া কোর্টে নিয়ে আসা হয়। তাকে হোমে রাখার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। আদালতের অনুমতি পত্র পাওয়ার পরই তাকে স্থানীয় হোমে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করবে জগাছা থানার পুলিশ। অমানবিক পরিবার ও মানবিক পুলিশের প্রমান দিল এই ঘটনা।