মনোজ বর্মন মাথাভাঙ্গা :- মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের জোরপাটকির বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষিকা গত ২৫ জুলাই খাটেরবাড়ি দেশবন্ধু চতুর্থ পর্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
গত ২৬ জুলাই মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্কুল শিক্ষিকার মা। অপহৃতা শিক্ষিকা উদ্ধার না হওয়ায় গত ১০ অগাস্ট ফের মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষিকার বাবা।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে অপহরণকারীর নাম উল্লেখ না করলেও তৃণমূল কংগ্রেস কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এবং দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের কাছে গত ১৪ অগাস্ট লিখিত অভিযোগপত্রে জানান, তাঁর মেয়েকে মাথাভাঙ্গা ১(এ ) ব্লক তৃনমূল যুব সভাপতি কামাল হোসেন অপহরণ করেছেন। যদিও কি কারণে অপহরণ তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। মাথাভাঙ্গার অ্যাডিশনাল এসপি অমিত ভার্মা এদিন মাথাভাঙ্গা থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে অপহৃতাকে একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কামাল হোসেনকে।একই হোটেল থেকে অপহৃতা শিক্ষিকা ও ব্লক তৃনমূল যুব সভাপতির উদ্ধার হওয়ার পরই মাথাভাঙায় শোরগোল পড়ে গেছে।
আদতে কি রয়েছে কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক?
এই বিষয়ে তৃনমূল যুব সভাপতি কামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘পরে বলছি।’ ধৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে এদিন মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলা হয়। এদিকে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে রয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। দলের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘এই বিষয়ে এদিন কোচবিহারে দলের জরুরি বৈঠক রয়েছে।’ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারীকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বাইরে রয়েছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।