শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর:-বড়ো দিনের ঠিক আগের রাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হাজির হলেন শান্তাক্লজ রূপে। গাড়িতে চেপে ঘুরে বেড়ালেন মহকুমার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। শীতের কামড় খেতে খেতেই যাদের কাছে প্রতিটি রাত হয়ে ওঠে এক একটি লড়াই, যাদের কাছে প্রতি দিনই একটা সংগ্রাম, তাদের কাছে বড় দিনের আনন্দের একটু রেশ পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হলো ঘাটাল প্রশাসন। বড় দিনের আগেই রাতে হঠাৎই বেরিয়ে পড়লেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, এস ডি পিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ঘাটালের সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না সহ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। শীতের হাত থেকে খানিক রেহাই দিতে এলাকার বেশ কিছু আশ্রয়হীন এবং ভবঘুরে মানুষদের হাতে তুলে দিলেন কম্বল, চাদর এবং বড়দিনের উপহার হিসেবে কেক। মহকুমা শাসককে শীতের রাতে এভাবে উপহার হাতে কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত সমাজের সেইসব প্রান্তিক মানুষেরা। প্রশাসনিক কর্তারাই হয়ে উঠলেন তাদের কাছে সান্তা ক্লজ।
বড়োদিনের ঠিক আগের রাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হাজির হলেন শান্তাক্লজ রূপে
রাজ্যস্তর কবাডি প্রতিযোগিতায় খ্যাতি অর্জন মালদার পুরুষ ও মহিলা বিভাগের কাবাডির
মহকুমা শাসক জানান প্রতি বছরই চেষ্টা করি এই শীতের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এই বছরেও তেমনই একটি প্রয়াস নেওয়া হল প্রশাসনিক তরফে। চেষ্টা করলাম আশ্রয়হীন কিছু মানুষের হাতে তুলে দিয়ে তাদের মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে তুলতে।বড়ো দিনের ঠিক আগের রাতেই মহকুমা শাসককের হাত থেকে এমন উপহার পেয়ে রীতিমতো খুশি বিবেকানন্দ মোড়ের বস্তী এলাকায় এক বাসিন্দা সন্ধ্যা মান্না বলেন বেজায় শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। এত রাতে কেউ সাহায্য নিয়ে আসবে তা ভাবতে পারিনি। খুব আনন্দ লাগছে। স্যরেরা কম্বলের সাথে কেক ও দিয়েছেন। কাল সব পরিবারের সবার সাথে মজা করে খাব।