Wednesday, November 19, 2025
- Advertisement -

বাঘাযতীন কাণ্ডে মেয়রের বিবৃতি 

- Advertisement -

বাঘাযতীন কাণ্ডে মেয়রের বিবৃতি

ইদানিংকালে যতগুলো ফ্ল্যাট ভেঙে পড়েছে, সব ক্ষেত্রেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম দোষ দিয়েছেন কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারদের। এই ক্ষেত্রে অবশ্য তার ব্যতিক্রম হলো। বৃহস্পতিবার ওই বিপর্যস্ত ফ্ল্যাটটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার এবং মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন। মেয়র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি গঙ্গাসাগরে ছিলাম। কথা হয়েছে দেবব্রত ও মিতালীর সঙ্গে। ওদের জানিয়ে এখানে আসা। এটা একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ফল্ট। পুরসভাকে না জানিয়ে প্রোমোটার পাকামি করে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ, পুরসভার অনুমতি না নিয়ে হরিয়ানার কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব করেছে। গাড়ি ওঠানোর যন্ত্র দিয়ে এসব করেছে।” এদিন পূর্বতন বাম সরকারকে কার্যত খোঁচা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “এই ফ্ল্যাটটি ২০০৯ সালে হয়েছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা ঠিক তা নয়। ২০০৯ সালে অনুমোদন পেলেও ফ্ল্যাটের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে।

এখানে যে ৮টি পরিবারের মাথা থেকে ছাদ হারিয়ে গেলো তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তাঁরা সর্বহারা হয়ে গিয়েছেন। বেআইনি নির্মাণের ফলে ইন্সিওরেন্স পান না। তার ফলে সমস্যায় পড়েন আবাসিকরা।” তাঁদের অনেককেই এখনও EMI দিয়ে যেতে হচ্ছেন। বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যে ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের আসবাবপত্র-সহ যাবতীয় সামগ্রী বের করে ওই ফ্ল্যাটটিকে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। তারপর তা সংস্কার করে আবাসিকদের বাসযোগ্য করা হবে বলেই জানান ফিরহাদ। এদিকে, এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেন মেয়র। ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও বেপাত্তা প্রোমোটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments