টিভি ২০বাংলা ডেস্ক :- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার কাউন্ট ডাউন শুরু, বড়ো ঘোষণা মূখ্যমন্ত্রীর
বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। হাতে গোনা ৪০ দিনের যাত্রা শেষেই দুর্গাপূজার শুরু। আর এই পুজোকে ঘিরেই থাকে বাঙালির রঙচঙে প্ল্যানিং। সারা বছর যারা কাজমুখো হয়ে থাকেন তারা পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে পড়েন পাহাড় কিংবা সমুদ্রের টানে কারোর আবার প্ল্যানিং এর তালিকায় থাকে জঙ্গল। কেউ আবার শহরে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং ও খাওয়া দাওয়ার মধ্যে দিয়েই উপভোগ করেন পুজোর ছুটি।
সেপ্টেম্বরের শেষেই হচ্ছে দেবীপক্ষের সূচনা। নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে এই দুর্গাপূজা নিয়ে আজ বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ৩০ শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ পঞ্চমী থেকেই পড়ে যাচ্ছে পুজোর ছুটি। সরকারি ভাবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর থেকে ১০ ই অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ছুটি। তিনি আরও জানান ৫, ৭, ৮ তারিখ বিসর্জনের দিন ঠিক করা হয়েছে। ৭ তারিখে জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল করবেন। আর কলকাতায় কার্নিভাল হবে ৮ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর কালী পুজো। ২৪ ও ২৫ তারিখ দুদিন ছুটি থাকবে। ২৭ তারিখ ভাইফোঁটার ছুটি। ছটের ছুটি দু’দিন ৩০ ও ৩১ অক্টোবর।
আগের বারের তুলনায় বিদ্যুৎ বিলে থাকবে ৬০ শতাংশ ছাড়। শুধু তাই নয় আগের বারের তুলনায় পুজোর অনুদান ৫০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার টাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার পুজো শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে, কেমন পুজো হচ্ছে দেখতে দেশ বিদেশ থেকে লোক আসবেন” তাই ওই দিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে কলকাতায় মিছিল আয়োজনের নির্দেশ দেন খোদ মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করেন, দুপুর দুটোয় জোড়াসাঁকোয় শুরু হবে মিছিল। কালারফুল পোশাকে হাজিরা দিতে বলেছেন ক্লাব কর্তাদের। কেউ শঙ্খ, কেউ গান কেউ উলুধ্বনি দিতে দিতে মিছিল এগিয়ে যাবেন। তার পর রানি রাসমণি রোডে মূল অনুষ্ঠান। সেখানে থাকবেন ইউনেস্কো কর্তা, শিল্পপতি ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। একই ভাবে অন্যান্য জেলা গুলিতেও একই সময়ে এই মিছিল হবে।