বাল্যবিবাহ রোধে কোতুলপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুলে প্রচার চালানো হচ্ছে। আজ 28 শে মার্চ মদনমোহন পুর বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রচার অভিযান চালানো হয় ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আবৃতি নাটক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় 18 বছরের নিচে বিয়ে দিলে কি কি অসুবিধা সম্মুখীন হবে ছাত্রীরা। তাই আজ কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে এই প্রচারমূলক অনুষ্ঠান চালান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কোতুলপুর বোর্ডঅবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুতপা সামুই জানান 18 বছরের নিচে ছাত্রীদের বিয়ে দিলে প্রথমত যেমন তাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন রোগগ্রস্ত হয় এমনকি বাচ্চারাও সেই অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হন। তাই কোনমতেই 18 বছরের নিচে বিয়ে না করতে বলেন ছাত্রীদের। অভিভাবকদেরও সজাগ করা হয় কোন মতেই 18 নিচে কন্যাদের বিয়ে দেবেন না এটা দণ্ডনীয় অপরাধ 18 নিচে বিয়ে দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেন।
বক্তব্য কবিতা এবং ছাত্রীদের নাটকের মধ্য দিয়েও ছাত্রীদের সজাগ করা হয় তার পাশাপাশি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয় বন্ধু-বান্ধবীদের 18 বছরের নিচে বিয়ে না হয় সে ব্যাপারেও যেন তারা আলোচনা করেন যদি 18 নিচে কোন বালিকার বিয়ে দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ যেন স্কুল শিক্ষক পুলিশ প্রশাসন এবং আধিকারিকদের জানানোর কথা জানান। তাছাড়াও টোল ফ্রি নাম্বার এ ফোন করার কথা বলেন। আজকের এই সচেতনতামূলক প্রচারে উপস্থিত ছিলেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুতপা সমুই কোতুলপুর সি ডি পি ও জয়ব্রত কুন্ডু B W O কৌশিক চক্রবর্তী। S H G K P প্রতাপ চন্দ্র চন্দ্র, P C অমিত মন্ডল I C D S এর রুবি রাজগুরু। হেলথ ডিপার্টমেন্ট এর আধিকারিকরা এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রীরা। এই প্রচার অনুষ্ঠান ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানান অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুতপা সামুই।
বাল্যবিবাহ রোধে কোতুলপুর এর বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে প্রচার প্রশাসনের
২৮ ও ২৯ ধর্মঘটের সমর্থনে বামেদের জয়পুরে মিছিল।
More News – বিষ খেয়ে আত্মঘাতী এক সিভিক ভলেন্টিয়ার শোকের ছায়া সিভিক মহলে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলো এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। জানা যায় মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম বিশ্বদেব ঘোষ, বাড়ি চাপরা থানা এলাকার বড় বালিডাঙ্গা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার পারিবারিক অশান্তির জেরে হঠাৎই বিষ খেয়ে নেয়। এরপর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে চাপরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। জানাজায় গতকাল রাতেই শক্তিনগর হাসপাতাল ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হয়। স্বভাবতই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় সিভিক মহল এবং পরিবার ও এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।