Wednesday, November 19, 2025
- Advertisement -

বিপর্যস্ত পাহাড়ে আটকে গুসকরার পর্যটক! সারা রাত ঘুমোতে পারিনি টিভি 20 বাংলার সাংবাদিক মনিপুষ্পক কে ফোনে জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা 

- Advertisement -

বিপর্যস্ত পাহাড়ে আটকে গুসকরার পর্যটক! সারা রাত ঘুমোতে পারিনি টিভি 20 বাংলার সাংবাদিক মনিপুষ্পক কে ফোনে জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা

নিউজ ডেস্ক : – প্রবল বর্ষন আর তাতেই বিপর্যয় পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রবল বৃষ্টি, ধসে পাহাড়ের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বেশকিছু জনের। পুজোর ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে বহু পর্যটক। পাহাড়ের প্রকৃতির রূপ দেখতে যাঁরা গেছিলেন তাঁরাই কোনোরকমে বাড়ি ফিরতে চাইছেন এখন।

কিন্তু কবে ফিরবেন সেটাই জানেন না অনেকে কারন ধসে আটকে রাস্তা, কোথাও আবার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটে খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে গাড়ি।

পাহাড়ে বিপাকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে আটকে গুসকরা যাদবগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক, আদিবাসী গানের শিল্পী উৎপল বেসরা। পাহাড়ে স্ত্রী, দুই ছেলে ,বোন, ভগ্নিপতি মিলে নয় জন ছুটি কাটাতে গিয়ে হোটেল বন্দি হয়ে পড়েছেন।

নেটওয়ার্ক কাজ করছে না বলে ফোনে যোগাযোগ করা গেল না তবে তবে ম্যাসেজ করতে উৎপল জানালেন শনিবার সকাল ৮ থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় পাহাড়ে, তাঁরা দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় গিয়ে টিকিট কেটেও ঢুকতে পারেননি বৃষ্টির জন্য। একটি চা বাগান থেকেও ফিরে আসতে হয় তাঁদের। সময় যত বাড়ে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ে বৃষ্টি।

উৎপল জানালেন চক বাজারের একটি হোটেলে তাঁরা ছিলেন । পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বর্ষণ আর বজ্রপাতের শব্দে সারারাত ভয়ে ঘুমাতে পারেননি একটুও।

তাদের টাইগার হিল যাওয়ার কথা থাকলেও বাতিল করতে হয় তা। রক গার্ডেন দেখতে যাবার সময় ধস দেখতে পেয়েছিলেন উৎপলরা। তিনি জানালেন প্রকৃতির এমন ভয়ঙ্কর রূপ আগে দেখিনি।

বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত আমি পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে গানের ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছি। এখন দেখছি ঝরনার জল যেন তেড়ে আসছে আমাদের দিকে,ভয় লাগছে।

রক গার্ডেন থেকে তড়িঘড়ি আমরা বেরিয়ে পড়ি কারন শুনেছিলাম এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু অবস্থা খুবই খারাপ শুনলাম মিরিকে সেতু ভেঙেছে,ওই সেতু দিয়েই আমরা এসেছিলাম। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর শুনতে পাচ্ছি এই মুহূর্তে।

পাহাড়ে অবস্থা খুবই খারাপ পর্যটকদের পাহাড় ছেড়ে নামার হিড়িক পড়ে গেছে তাতেই রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক রাস্তা ধসে বন্ধ,যে রাস্তা গুলো খোলা তাতে লম্বা গাড়ির লাইন। ঘুরপথে যেতে হচ্ছে বলে এই সুযোগে গাড়ি ভাড়া অনেকটা বেশি দিতে হচ্ছে।

এই অবস্থায় সোমবার আমাদেরও পাহাড় ছেড়ে নামার কথা ,জানি না আদেও বাড়ি কবে পৌঁছাতে পারবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments