মথুরাপুর বিজয় সম্মেলনীর মধ্য দিয়ে ২০২৬ বিধানসভার নির্বাচনের দামামা বাজালো তৃনমূল কংগ্রেস
বাইজিদ মন্ডল দক্ষিন চব্বিশ পরগনা :- মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের কাশিনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক জাঁকজমকপূর্ণ বিজয়া সম্মিলনি ও সংবর্ধনা সভা। পুজো-পরবর্তী এই সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে ভিড় জমায় প্রায় ৪ হাজার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আবহে ভরে ওঠে গোটা কাশিনগর এলাকা।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার, রায়দিঘি বিধানসভার বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা, জেলা পরিষদের সদস্য উদয় হালদার ও মধবি পুরকাইত সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বহু তৃণমূল নেতৃত্ব।
উক্তমঞ্চ থেকে নেতারা একে একে দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ও সাংগঠনিক বার্তা তুলে ধরেন। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের জন্য কাজ করে, বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথে ভোট দেবে। সাংসদ বাপি হালদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হওয়া নির্যাতনের কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, বিজেপি বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, বিজেপিকে ভারত ছাড়তে হবে। এই বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চ থেকেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ের প্রস্তুতির বার্তা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা নেতৃত্ব জানান, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করাই এখন দলের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিও তুলে ধরা হয় মঞ্চে- বাংলার সংস্কৃতি ও অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠেন। গান, কবিতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এই বিজয়া সম্মিলনি। তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা স্পষ্ট- সংগঠনই শক্তি, ২০২৬-এ জয় আবারও তৃণমূলের।

