এস এস সি দুর্নীতি মামলায় জড়িত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গত ২৩ শে জুলাই মধ্যরাতে গ্ৰেফতার করে ইডির অফিসারেরা। গ্ৰেফতারের পরেও রাজ্যের শাসকদল থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছিল।
যদিও বঙ্গভূষন এবং বঙ্গবিভূষন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান সঠিক বিচারের পর অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সেই কথাকেই মান্য করে আজ দুপুরে নবান্নে মন্ত্রী সভা করা হয়, যদিও তার সময়সীমা ১৫ মিনিটের বেশি নয়। কিন্তু বৈঠকের পরেই নবান্ন থেকে নোটিশ পেশ করা হয়, সেই নোটিশে পরিষ্কার জানানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে তিনটি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন অর্থাৎ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিষদীয় বিভাগ , সেই তিনটি দফতর থেকেই তাকে বহিস্কার করা হয়। এই দফতর গুলি আপাতত সামলাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এদিন বিকেলে তৃণমূল ভবনে রাজ্যের শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন এবং বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসেন । সেখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম সহ সুব্রত বক্সীরা। বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল কিন্তু নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে তিনি আবারও যোগদান করতে পারবেন।
এত এত কালো টাকা কোথা থেকে পেলেন?কী এই টাকার উত্স? এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন সভাপতি নিজেই। তিনি এও বলেন ভারতে প্রথম কোনো দল যারা ছয়দিনে এত বড় সিদ্ধান্ত নেন । মন্ত্রীত্ব ছাড়াও মহাসচিব, জাগো বাংলার সম্পাদক, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্য সহ আরো পাঁচটি পদ থেকে অপসারণ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । ” কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, তৃণমূল তার পাশে দাঁড়াবে না” জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।