নিশীথ দাস,উত্তর ২৪ পরগনা :- আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে বারাসাতে মাওবাদী পোষ্টার, চাঞ্চল্য গোটা শহর জুড়ে জঙ্গল মহলে নয় এবার মাওবাদী পোস্টার পড়ল বারাসাতে শহরের প্রাণ কেন্দ্র। বুধবার সকালে বারাসাত কলোনী মোড়ের তোরণের কাছে পড়ল মাওবাদী পোষ্টার। আর তা ঘিরে চাঞ্চল্য গোটা শহর জুড়ে।কলোনী মোড়ের চায়ের দোকানের সামনে লাল আলতায় সাদা আর্ট পেপারের উপর অনিস খানের মৃত্যুকে নিয়ে মাও পোষ্টার দেখতে পাওয়া যায়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে কারা এই পোষ্টার দিল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে।
বেশ কয়েকটি পোষ্টার পড়ে বারাসাতে। পোষ্টারে আনিস খানের মৃত্যুর বদলা চাওয়া হয়েছে। হাওড়ার ছাত্র নেতার মৃত্যুতে মাও পোষ্টার বারাসাতে কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শহরের বাসিন্দারাও। তাদের প্রশ্ন বারাসাত কলোনী মোড়ের মত জন বহুল জায়গায় মাওবাদী পোষ্টার লাগালো কারা। এই মোড়ে সব সময় ট্রাফিক পুলিশ থাকে। রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারী। তার পরেও নিসিদ্ধ সংগঠনের পোষ্টার জন বহুল জায়গায় লাগাবার সাহস দেখালো কে বা কারা।
বুধবার বারাসাত পুরসভায় কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান হয়। তার আগে শহরে অন্যতম জায়গায় মাওবাদী পোষ্টার পড়াতে বিস্মিত শহরবাসী। পোষ্টারের শেষে সিপিআই –মাওবাদী উল্লেখ করা হয়েছে।আনিস খানের মৃত্যুর জন্য শাসক দলকে দায়ী করা হয়েছে পোষ্টারে। সরাসরি তৃণমুল কংগ্রেসকে কবর দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে কলোনী মোড়ে লাগানো মাওবাদী নামাঙ্কিত পোষ্টারে। বারাসাত জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সাংগঠনিক সভাপতি অশনি মুখার্জী বলেন কেউ মজা করে করেছে আর যারা আন্দোলন করছে তাদের দলের কোন ভার নেই তাই দলের ভার বাড়ানোর জন্যই এই সমস্ত করেছে৷
মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য বারাসাত শহরে
এই উন্নয়নের বারাসাতে এই ধরনের শক্তির কখনো প্রভাব পড়েনি আর পড়বেও না৷ যারা এটাকে নিয়ে বিতর্কিত আলোচনায় যাচ্ছেন তাদের দলের ভার ওজন কিছুই নেই বললেই তারা হয়তো ঐ ভাবে বাজার গরম করবার চেষ্টা করছে,কিন্তু উন্নয়নের বারাসাতে মানুষ হাসছে, মানুষ ঘুরছে , প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিচ্ছেন তারা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে যদি সেই ধরনের কোনো নাশকতা মূলক ঘটনা তৈরি করার চেষ্টা করে ৷