মহামারির আতঙ্ক নির্মুল হয়েও হল না যেন। মাস্ক পড়া ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় অনেকেই আবার পোশাকের সাথে তাল মিলিয়ে মাস্ককেই ফ্যাশন বানিয়েছেন অনেকে। তবে আর ফ্যাশনে নয়, বাধ্যতামূলক মাস্ক। দেশে একদিনে আক্রান্ত ২০,০৪৪ এবং মৃত ৫৬ জন। এদিকে বঙ্গে বাড়ল মৃত্যু সংখ্যা। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী প্রথম তালিকায় রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, বীরভূম। গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলতি মাসেই বঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ ।
চিকিৎসকদের মতে চতুর্থ ঢেউয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাদের পুরোনো কোনো রোগ ছিল, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর পুরোনো সেই রোগের বাড়াবাড়িতেই সঙ্কটজনক অবস্থায় পড়েছিলেন তারা । এবারও আতঙ্কের তির বয়স্কদের দিকেই । জানা গিয়েছে কোভিড অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এদিন স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠিয়েছে বেলেঘাটা আইডি। পাশাপাশি সিসিইউ এবং আইসিইউতে শয্যার চাহিদা বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকদের আরো মতে কোভিড যেমন হবে ছোঁয়াচে তেমন হবে নিস্ক্রিয় এবং সাধারণ সর্দি জ্বরের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে ৫ বছরের নীচে শিশুদের এবং ৭০ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসিক নিয়ম গুলি মেনে চলতে হবে অর্থাৎ জমায়েত এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
মাস্ক কি আবারও বাধ্যতামূলক হতে পারে?
এছাড়াও চিকিৎসকরা আপাতত লকডাউন হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থাৎ দোকানপাট, রেশন কোনো কিছুই বন্ধ হবে না শুধু জনগণকে সতর্কতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। উপসর্গ মনে করলে সাতদিন আইশোলেশনে থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে সতর্ক করা হচ্ছে।