প্রতিনিধি, মেহেবুব মাসুম :- রাজ্যের রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। ভালো রাস্তা বোধহয় কোথাওই আর দেখা যায় না। এই পরিস্থিতিতেও রাস্তা সারাইয়ের দিকে নজর নেই রাজ্য সরকারের । এই প্রসঙ্গে আগেই সরব হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । কান্দি মহকুমার জীবন্তি থেকে শেরপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পরিদর্শনে যান তিনি। তখনই এই বেহাল রাস্তার অবস্থা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিলেন। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, একেতো রণগ্রাম ব্রিজ বন্ধ, প্রায় ভেঙে পড়েছে। এদিকে জীবন্তি থেকে শেরপুর পর্যন্ত রাস্তার যা অবস্থা দেখলাম তা বর্ণনা করার যোগ্য নয়। দেখলে মনে হবে মাছ চাষের জায়গা যেন! অথচ কংগ্রেস আমলে আমি কেন্দ্রের থেকে টাকা এনে এই রাস্তা তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। বারবার সেটা করা সম্ভব নয়। কারণ চাইলেও টাকা দেবে না। কিন্তু তৈরি হওয়া রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অধীর চৌধুরী এই প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরে বলেন, “রাজ্য সরকার ১৫ বছরের আগাম রোড ট্যাক্স নিয়ে নিচ্ছে। পেট্রোল ও ডিজেলের উপর ভ্যাট বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে। তার পরেও কেন রাস্তা তৈরি হবে না? নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তা কেন সারানো হবে না এর জবাব রাজ্যকেই দিতে হবে। গাড়ি যখন যায় রাস্তার উঠে যাওয়া পাথর ছিটকে মানুষের গায়ে গুলির মত বিঁধছে। দুর্ঘটনা রোজের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থাতেও সরকার আশ্চর্যজনকভাবে চুপ। অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠিও লিখেছেন অধীর।
অধীর লেখেন, জীবন্তী থেকে শেরপুর যাওয়ার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। গাঁতলা ব্রিজ ও রণগ্রাম ব্রিজের অবস্থা করুন বলে চিঠিতে লিখেছেন অধীর। দাবি জানিয়েছেন ব্যবস্থা নেওয়ার। একদিকে বহরমপুর- কান্দি ভায়া রণগ্রাম ব্রিজ অন্যদিকে বহরমপুর -খড়গ্রাম ভায়া জীবন্তি গাঁতলা ঘাট ব্রিজ। মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম- বর্ধমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে কান্দি মহকুমার গুরুত্বপুর্ন দুটি জীবনধারা। রণগ্রাম ব্রিজের ভোগান্তির সাথেই বর্তমানে জ্বলন্ত সমস্যা গাঁতলা ঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বেহাল রাস্তা। যে রাস্তা সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।