লক্ষ্য ২০২৬! সংগঠনের নীচু তলায় জোর দিতে সচেষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস
টিভি ২০ বাংলা ডেস্ক:- লক্ষ্য ২০২৬! এখন থেকেই সংগঠনের নীচু তলায় জোর দিতে সচেষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস।লোকসভার ফল প্রকাশের পরে গোটা রাজ্যের ব্লক ও টাউনের ফলাফল হাতে পেয়েছে তাঁরা। কে কতটা পারফরম্যান্স দিয়েছে তা ধরা পড়েছে রেজাল্টেই। এমনকি শাসক দলের নেতার আচরণ কেমন তাও বুঝে নিয়েছে শাসক দল।এই অবস্থায় একেবারে নীচু তলায় শীঘ্রই বদল আসতে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।লোকসভার ফল অনুযায়ী শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ফল তুলনামূলক খারাপ। তাই এই অবস্থাকে প্রাধান্য দিয়েই সংগঠনের নীচু তলায় বদল আসবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। জনভিত্তি কতটা? তা মেপে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই রিপোর্ট কার্ডের উপর ভিত্তি করেই মিলবে সাংগঠনিক দায়িত্ব।আগামী দেড় বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ব্লক স্তরকেই ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানেই জনপ্রতিনিধিদের থেকে পাওয়া রিপোর্টের পাশাপাশি ওই ব্লকের নেতার প্রকৃত জনভিত্তি কতটা, মানুষের সঙ্গে মেশার ক্ষমতা কেমন, তা দেখে নেওয়া হচ্ছে। আসলে মানুষের সেই নেতা সম্পর্কে কতটা আস্থা রয়েছে, কতটা সেই নেতা কাজ করতে পারেন, মানুষের প্রতি সেই নেতার ব্যবহার কেমন, তার সবটাই গুরুত্ব সহকারে দেখে নিতে চায় শাসক দল।তাই ব্লক স্তরে নতুন কমিটি গড়ে তোলার আগে চলছে একাধিক বার ঝাড়াই-বাছাই।রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা থেকে রিপোর্ট জমা পড়ছে শাসক দলের অন্দরে। সেই রিপোর্ট দেখে, বাস্তবিক অবস্থা সম্পর্কে সেই নেতা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করে তবেই দায়িত্ব দেবে শাসক দল। গোটা বিষয়টি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে একাধিক সময় বিধায়কের সাথে ব্লক সভাপতির গন্ডগোলে বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসক দলের অন্দরে। একাধিক বার একাধিক শীর্ষ নেতাকে বসিয়ে সেই গন্ডগোল থামাতে হয়েছে৷ তাই সাবধানী দল। যাতে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। এর পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাতে কোনও ধরণের দূর্নীতি যুক্ত না থাকে। তাই কারও বিরুদ্ধে কোনও দূর্নীতির অভিযোগ থাকলে তাদের দায়িত্ব দেবে না দল। প্রসঙ্গত, এর আগে বর্ধমান, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, হুগলির একাধিক জায়গা থেকে নানা অভিযোগ এসেছিল। ব্লক স্তরে কোনও অশান্তি যে দল বরদাস্ত করবে না তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের সাথে জনসংযোগ করাই যে আসল লক্ষ্য তৃণমূলের তা এই কমিটির মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে চলেছে তৃণমূল।উদাহরণ স্বরূপ তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা-সহ বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় আইএসএফের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। বামেদের তুলনায় আইএসএফ ভোট বেশি পেয়েছে। তেমনই ভোট বৃদ্ধি হয়েছে বিজেপিরও। বারাসত পুরসভা-সহ বেশ কিছু পুর এলাকায় তৃণমূলের কার্যত হার হয়েছে। কেন এই হার তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যেমন বারাসত পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে হার। মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে হার হয়েছে।