মেহেবুব মাসুম :- বিরোধীদের হই-হট্টগোলের মাঝেই লোকসভায় পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এ দিন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন এবং তা ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয়। এবার রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করা হবে। গত ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জয়ন্তীর দিনই সকলকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কৃষি আইন আনার পিছনে দেশের মহৎ উদ্দেশ্য থাকলেও দেশের একাংশ কৃষককে এই আইনের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো যায়নি। লোকসভায়
কৃষকদের আর্জি মেনেই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই আইন প্রত্যাহারের কাজ শেষ করা হবে।” প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের প্রস্তাব পাশ করা হয়। আগেই জানা গিয়েছিল, অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হবে। এদিন সকালে অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী দল গুলির সাংসদরা কৃষি আইন প্রত্য়াহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে হই-হট্টগোল শুরু করেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী সাংসদদের শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তারা সেই কথা না শোনায় দুপুর ১২টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়।
লোকসভায় পাস হয়েগেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। বিরোধীদের হইহট্টগলের মধ্যে স্থগিত অধিবেশন
জানুয়ারিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খোলা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত
১২টার পর অধিবেশন শুরু হতেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন। মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাশ করে দেওয়া হয়। বিনা আলোচনাতেই আইন প্রত্যাহারের বিল পাশ করায় বিরোধীরা ফের হট্টগোল শুরু করে। ফলে দুপুর ২ টো অবধি লেকসভা ও রাজ্যসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, দুপুর ২ টো থেকে রাজ্য়সভার অধিবেশন শুরু হলেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হবে। তবে আজ বিল পাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে