দীপ দেব ,আসাম:-কথায় আছে বাঙ্গালীর হিন্দুদের বারো মাসে, তেরো পার্বণ।আর এই তেরো পার্বণের মধ্যে শেষ্ঠ হলো মা দূর্গা পূজা। দেখতে দেখতে দূর্গা পূজার তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে,আজ মহা নবমী। দূর্গা পূজার চারদিন মানেই ঘুরাঘুরি,খাওয়া-দাওয়া,প্যান্ডেল দেখা সব মিলিয়ে এক মজার ব্যাপার।শিলডুবি সার্বজনীন জনকল্যাণ সমিতির দূর্গা পূজার ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে উক্ত দূর্গা কমিটির বিশেষ উদ্যোগে নবমীর দিনে এই উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষের কল্যানার্থে শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশন তথা শিলিডুবি শঙ্করজ্যেতি গীতাশ্রমের কর্মাধক্ষ্য শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রম্রচারী মহারাজ মহাপবিত্র শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠ করেন।শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রম্রচারী মহারাজ বলেন,জাগতিক কার্যকারণ-শৃঙ্খলা জ্ঞানের অতীত।
মানববুদ্ধিতে মা দূর্গাকে বুঝা দুষ্কর ও দূরূহ। মানুষ তো এটাই মনে করে যে,আলোক ও অন্ধকার,জ্ঞান ও অজ্ঞান,মেধা ও বিস্মৃতি যুগপৎ অবস্থান করতে পারে না। কিন্তু দেবী মা দূর্গার দ্বারা সকল কাজই সম্ভব।এই শ্রীশ্রী চন্ডীতে উল্লেখ আছে,এই দেবীশক্তিরা আসলে মাদেবী ভগবতীরই বিভিন্ন নামে এবং বিভিন্ন রূপে প্রকাশিতা হয়ে অসুরদের দমন ও অশুভ শক্তিকে নষ্ট করেছিলেন।তাই সর্বভূতে শক্তিরূপে যে দেবীর অবস্থান তাঁকে বারবার প্রনাম জানিয়ে -“যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা।নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমোহঃ।।”
সেদিন শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশন তথা শিলিডুবি শঙ্করজ্যেতি গীতাশ্রমের কর্মাধক্ষ্য শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রম্রচারী মহারাজের সহাযোগীতায় ছিলেন উক্ত সার্বজনীন পূজা কমিটির উপদেষ্টা রেবতী রঞ্জন তালুকদার, দিলীপ মিত্র,নির্মল দাস,তপন দে,সভাপতি সঞ্জিত বিশ্বাস,সম্পাদক বিল্পব দে, কোষাধ্যক্ষ পিক্লু চৌধুরী, সদস্য দুলাল চৌধুরী, দেবাশীষ বিশ্বাস,কাজল দত্ত, শেফাল দে সহ আরো অন্যান্যরা।