স্থায়ী উপাচার্য পেল রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক :- শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক বার্তায় প্রকাশ করেন যে এবার স্থায়ী উপাচার্য পেল রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, রাজ্য ও রাজ্য সরকারের সাময়িক বিতর্কের অবসান ঘটলো। উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছিল সেই সংঘাত। এবার রাজ্যের পাঠানো নামেই সই করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। কিছুদিন আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়িয়ে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরেই খবর যায় মমতার পাঠানো নামের তালিকায় সই করেছেন রাজ্যপাল। খুশি হয়ে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানান ব্রাত্য বসু।
উপচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। তা এবার শেষ হল বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। স্থায়ী উপাচার্য পেল রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি পুরো পদ্ধতির তদারকি করেছে। প্রায় গোটা শিক্ষাবর্ষে উপাচার্যহীন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। পরে ধীরে ধীরে স্থায়ী উপাচার্য পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও পর্যন্ত ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্যের আসন ফাঁকা। আশা করা যায়, অল্প দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান ঘটবে।
৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপচার্য হলেন –
১) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তীকে।
২) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শঙ্করকুমার নাথ।
৩) বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন রূপকুমার বর্মণ ৪) কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কল্লোল পাল। ৫)সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্রকুমার চক্রবর্তী।
৬) রানি রাসমণি গ্রিন বিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে অমিয়কুমার পণ্ডাকে।
কূটনৈতিক মহলের ধারণা বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের আশান্ত পরিবেশের প্রেক্ষিতে এই আসনগুলোকে দ্রুত পূরণ করা হলো। অচিরেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নিয়োগ করা হবে উপচার্য।