হিন্দু জাগরণ মঞ্চের শৌর্য মিছিলকে ‘অসভ্য, বর্বর’ বললেন ফিরহাদ
নিউজ ডেস্ক :- বাংলায় ধৰ্মীয় মেরুকরনের রাজনীতি অব্যাহত আছে। এখানকার সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটের অধিকাংশটাই মমতার বাক্সে। আর সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ভোট নিজেদের বাক্সে ঢোকাতে তৎপর বিজেপি। বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি এই মরুকরণকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্যামবাজারে ‘শৌর্য দিবস’ উজ্জাপনের মিছিলে হাজির থাকবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। এদিন তিনি পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় মিছিল। মুহুর্মুহু ওঠে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি । মছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল রাম মন্দির আন্দোলনে নিহত কলকাতার ২ যুবক রাম কোঠারি ও শরদ কোঠারির ছবিসহ পোস্টার। তাঁদের স্মরণ করেও স্লোগান দেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। বেজে ওঠে শঙ্খ, ডমরুসহ নানা সনাতনী ধর্মীয় বাদ্যযন্ত্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য মিছিল করেন সনাতন সভ্যতার অনুসারীরা। মিছিলে ছিল প্রবল উত্তেজনা। নানা শ্লোগান ওঠে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে।
এই মিছিলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। কিন্তু লক্ষ্য থেকে উপলক্ষ বেশি হয়ে উঠলো। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে ‘শৌর্য দিবস’ পালন করল হিন্দু জাগরণ মঞ্চসহ একাধিক ধর্মীয় সংগঠন। সেই উজ্জাপনে যোগদান করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য মিছিল করেন সনাতন সভ্যতার অনুসারীরা। এই মিছিল নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এটা হচ্ছে অসভ্যতা। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই অনেক মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে সেদিন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল। সেই জন্য কোর্ট কেস দিয়েছিল। আজও সেই কেস বিজেপির বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে আছে। কিন্তু সেই সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কেউ যদি শৌর্য দিবস করে তার মানে তারা অসভ্য, তারা বর্বর, তারা অভদ্র।’ মেয়রের এই প্রতিক্রিয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব।