Tv20 Bangla:- বুধবার সকালে গাজন উৎসব উপলক্ষে 700 বছরের পুরনো রীতি মেনে রুদ্রদেব মন্দিরের ভক্তরা মড়ার খুলি নাচালো কান্দির রুপপুর এলাকার বাবার বাড়ি অর্থাৎ রুদ্রদেব মন্দির প্রাঙ্গণে। মড়ার খুলি নাচানোর এই রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে কান্দির গাজন উৎসবে। মড়ার খুলি নাচানো দেখতে মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ পাশাপাশি মন্দিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য মোতায়েন ছিল কান্দি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মড়ার খুলি নাচানোর পাশাপাশি ভক্তরা এই মন্দিরে প্রাচীন রীতি মেনে সঙ সেজে নাচ করেন এবং বাবা রুদ্রদেবের বিগ্রহকে বাবারবারি মন্দির থেকে পালকিতে করে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহর পরিক্রমা করে। কান্দির হোমতলা মন্দিরে নিয়ে আসে সেখানেই বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয় বাবা রুদ্রদেবের গাজন উৎসব উপলক্ষে।
গাজন উৎসবের পরের দিন অর্থাৎ চড়ক পুজোর দিন সকালে আবার রুদ্রদেবের বিগ্রহ একইভাবে পালকিতে শহর পরিক্রমা করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রুদ্রদেবের নিজস্ব মন্দির বাবারবারি মন্দিরে। পালকিতে করে রুদ্রদেবকে নিয়ে আসা এবং পরেরদিন পালকিতে করে রুদ্রিদেবকে নিয়ে যাওয়ার শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় জমায় কান্দির আট থেকে আশি সকলে পাশাপাশি বিভিন্ন পূর্ণার্থী এই সুযোগে রুদ্রদেবের বিগ্রহতে জল ঢেলে নেন। সব মিলিয়ে গাজন উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয় কান্দি শহরে এবছরো যার ব্যতিক্রম নয়। কান্দি শহরের বিভিন্ন সাধারন মানুষ বৎ করে ভক্ত হন এবং তারায় এই রুদ্রদেবের গাজন উৎসব উদযাপন করার মূল কান্ডারী দায়িত্ব পালন করেন। গাজন উৎসবকে কেন্দ্র করে কান্দি শহরে সাজ সাজ রব প্রতি বছরের ন্যায় এবছরো।
700 বছরের পুরনো রীতি মেনে মড়ার খুলি নিয়ে নাচ আজও অব্যাহত কান্দির গাজন উৎসবে।
MORE NEWS – এবার হাঁসখালি ধর্ষন কান্ডের প্রতিবাদে পথে নামলো নদীয়ার একাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
গোপাল বিশ্বাস:- নদীয়ার হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে এবার প্রতিবাদের সুরে পথে নামল সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার বিকেলে শান্তিপুর ডাকঘর মোড় এলাকা থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। মিছিলটি শান্তিপুরের রাজপথ ধরে শেষ হয় শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোলপার্ক মোড়ে। এই প্রতিবাদ মিছিল এর মধ্যে দিয়ে সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের দাবি, আমরা এই প্রতিবাদ মিছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে করছি।
নদীয়ার হাঁসখালি তে যেভাবে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে আমরা তার তীব্র ধিক্কার জানাই। এবং দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পাই তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে আমাদের এই প্রতিবাদ মিছিল।