নিশীথ দাস,উত্তর ২৪ পরগনা:- আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে গিয়াসউদ্দিন এর উপর মামলা নিয়ে বারাসাত আদালতে বড়সড় প্রশ্ন তুললেন তার আইনজীবী ভাস্কর লাহিড়ী। আলিয়া কাণ্ডে গিয়াসউদ্দিন কে সোমবার বারাসাত আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলো, তবে তার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন গিয়াসউদ্দিন এর আইনজীবী ভাস্কর লাহিড়ী। সোমবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় দুই আইনজীবীর সাওয়াল-জাওয়াব চলল প্রায় ২৫ মিনিট ধরে। আলিয়া কাণ্ডে গিয়াস উদ্দিন এর আইনজীবী এজলাসে প্রশ্ন তুললেন 386/307 ধারা কেন প্রয়োগ করা হয়েছে? কেস ডাইরিতে এর কোনো প্রমাণ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে ১ তারিখ, কিন্তু কেন দুদিন কেটে যাওয়ার পর ৩ তারিখে মামলা রুজু করা হলো ? ঘটনাটি ভাইস-চ্যান্সেলর এর সাথে ঘটা সত্ত্বেও কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিনকে কেও মামলা রুজু করল না? অন্য ছাত্র কে কেন এই মামলায় রুজু করতে হলো ? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ভাস্কর বাবু।Aliah (আলিয়া),Aliah (আলিয়া)
সরকারি পক্ষের আইনজীবী তার বক্তব্যে জানান গিয়াস উদ্দিন মোল্লা প্রভাবশালী ব্যক্তি, তার প্রভাব দেখিয়ে কারোর কথা না শুনেই ভাইস-চ্যান্সেলরের ঘরে ঢুকে গিয়েছে দলবল নিয়ে। অস্ত্র নিয়ে ঢুকে ভাইস-চ্যান্সেলরকে হুমকি দেয়। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরো তিনটে ঘটনা তার বিরুদ্ধে রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী, সেগুলি চার্জশিট পর্যায় রয়েছে। সরকারি আইনজীবী সাবাল জবাবে জানান এই ঘটনায় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় এরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের জায়গা করে তুলেছে।
Aliah (আলিয়া) কাণ্ডে গিয়াসউদ্দিনকে সোমবার বারাসাত কোর্টে তোলা হয় আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলো৷
এর পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিনের আইনজীবী জানান আলিয়া ইউনিভার্সিটি তে ঢোকার মুখ থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকে, সে ক্ষেত্রে একজন যুবক সে কিকরে তার দলবল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে গেল এত নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে থেকেও সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মামলাটি রিজার্ভ রেখেছে। তদন্তকারী অফিসার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানালে আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে।