বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার:- জেলাসদর আলিপুরে যেতে অনেকটা পথ অতিক্রম করে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে জানাতে হয় অভিযোগ। এর ফলে জেলার মানুষের যেমন সময় নষ্ট করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তেমনি খরচা হয় বেশ কিছু টাকা।আর সেই কারণে সরকারি কাজের জন্য আর কোন অভিযোগ নিয়ে জেলা সদর অফিসে আসতে হবে না অভিযোগকারীর। জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকরাই এবার পৌঁছাবেন উপভোক্তাদের কাছে। তাই শুক্রবার জনসংযোগ প্রকল্পের সূচনা হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মহকুমায় ।শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসকের অফিসে এই প্রকল্পের মূল অনুষ্ঠানটি হয়। জেলার কাকদ্বীপ, বারুইপুর ও আলিপুর সদরের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার(Diamond Harbour) এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিকভাবে জেলাশাসক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক অঞ্জন দত্ত, মহকুমার সমস্ত বিধায়কগন, পঞ্চায়েত সমিতির সকল সভাপতি, সকল সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকগণ সহ আরও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে জনসংযোগ অভিযোগ নিষ্পত্তি করণ। জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা থেকেও অভিযোগ নিয়ে যেমন বহু অভিযোগকারী আসেন,তেমনি শহর এলাকার অভিযোগকারীরা এদিন উপস্থিত ছিলেন। মূলত জল, বিদ্যুৎ, জাতিগত শংসাপত্র, এবং ব্যাংকের সমস্যায় বেশি নিষ্পত্তি করা হয় এই শিবির থেকে। মহকুমা শাসক অঞ্জন দত্ত বলেন, আমাদের জেলাতে এই প্রথম এরকম একটা কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো। অভিযোগ জানানোর জন্য কষ্ট করে গ্রামের মানুষ কে আর জেলাশাসকের অফিসে যেতে হবে না।
Diamond Harbour প্রশাসনিক করনে দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে জনসংযোগ সভা কর্মসূচির সূচনা।
Manickchak একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মানিকচকে।
মূলত নিজে এলাকাতেই গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা সমস্যার সমাধান করে দেবেন। মানুষের সাধারণ সমস্যাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে এই জনসংযোগের মাধ্যমে। এর ফলে প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে। এমনকি বেশ কিছু মানুষের হাতে জাতিগত শংসাপত্র, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পে অভিযোগ জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশংসাপত্র,স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয় উপভোক্তা কারীদের হাতে। তিনি বলেন একজন জেলাশাসকের পক্ষে সারা জেলা ঘুরে কাজ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই জেলার সমস্ত মহাকুমা শাসকদেরকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগী হতে বলেন।