Saturday, December 7, 2024
- Advertisement -

Kolkata HighCourt ‘বাপি বাড়ি যা’, আবার ছক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

- Advertisement -

ডেক্স রিপোর্ট, রাকেশ চক্রবর্তী:- বাংলা থেকে যেন দুর্নীতি শব্দটা উড়িয়ে, রাজ্যের বাইরে ফেলে দিতে চান জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঠিক যেমন আর এক বিখ্যাত বাঙালি ‘গাঙ্গুলি’ নিজের সৌরভ ছড়িয়ে মাঠের বাইরে ফেলে দিতেন যে কোন বোলারের বল, ‘বাপি বাড়ি যা’ বলে। গোটা বাংলা জুড়ে, যেন এখন দুর্নীতির জার্সি উড়িয়ে দেবার পালা। ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata HighCourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক রায়। চাকরি গেল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার। পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে, স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন অভিজিৎ বাবু। শুধু তাই নয়, আর সে নিজেকে শিক্ষিকা হিসাবে পরিচয় দিতে পারবে না। এমনকি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে, এতদিনের সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, তাঁকে রাজ্য সরকার এযাবৎ যে বেতন দিয়েছে, তার সমস্তটা ফেরত দিতে হবে। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতার বিরুদ্ধে নেতা বাবার প্রভাব খাটিয়ে, অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেন ববিতা সরকার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধা তালিকায়; অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, প্রথম মেধা তালিকায় প্রথম ২০তে নাম না থাকা অঙ্কিতাকে, দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় অবৈধ ভাবে, রাজ্য সরকারের নির্দেশে। কোন ইন্টারভিউ ছাড়াই……

Kolkata HighCourt ‘বাপি বাড়ি যা’, আবার ছক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

ট্রেনের ইঞ্জিনের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে, প্রায় ঘন্টা দুয়েক হয়রানির শিকার যাত্রীরা।

কারণ ওই শর্তেই ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে দিদির তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাম নেতা পরেশ অধিকারী। ওই মেধাতালিকার ২০ নম্বরে যে এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম ছিল, তাঁর থেকেও ১৬ নম্বর কম পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। যেখানে ২০ নম্বরে থাকা পরীক্ষার্থী ববিতার নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতার নাম মেধা তালিকায় ঢোকানোয়, ববিতা চাকরির সুযোগ হারান। এরপরেই তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, চাকরির দাবিতে মামলা করেন, কলকাতা হাইকোর্টে।

শুক্রবার অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন, দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই। লজ্জার অন্ধকারে ডুবল মা মাটি মানুষের সরকার, রায় শোনার পরে বলছে বিরোধীরা…আশার আলো শহিদ মিনার চত্বরে বছরের পর বছর বসে থাকা, স্কুল সার্ভিসের পরীক্ষায় পাশ করা বেকার ছেলেমেয়ে-গুলোর মুখে…বিচার হবে নয়, হচ্ছে…!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments