গোপাল বিশ্বাস, নদীয়া:- সাইকেল গ্যারেজ হিসাবে উল্লেখ না থাকলেও, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের (Shantipur Hospital) মধ্যে সাইকেল মোটর সাইকেল দীর্ঘদিন ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়েছে চিকিৎসা করতে আসা রোগী এবং তাদের পরিবারদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর নির্দেশে আজ সকাল থেকেই একমাত্র অসুস্থ রোগীর জন্য মোটরসাইকেল চারচাকা গাড়ি ভেতরে যাওয়ার ক্ষনিকের জন্য অনুমতি থাকলেও আর রোগীর পরিজনদের আশা যানবাহন রাখার কোনরকম অনুমতি নেই। ফলে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে গিয়ে সাইকেল রাখার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে পাঁচ দশ টাকা। হাসপাতালের প্রধান গেটের বাইরে বিভিন্ন ছোট ছোট দোকান থাকলেও গ্যারেজে সংখ্যা খুবই কম, ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের রাখার জায়গা ফুরাচ্ছে, বাধ্য হয়েই অনেকে রাস্তার উপরে কেউ বা হাসপাতাল গেট এর সামনে রেখে চলে যাচ্ছেন সাইকেল মোটরসাইকেল।
আর এর ফলেই আগামীতে তীব্র যানজটের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। হাসপাতাল সিকিউরিটি লাবু বিশ্বাস বলেন, মাঝে বেশ কিছু সাইকেল চুরি হয়েছে হাসপাতালে ভেতর থেকে তার দায় আমাদের উপর দেওয়া হয়েছে, অথচ আমরা তাদের সাইকেল পাহারা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পাইনি। হাসপাতাল সুপারেন্টেন্ড ডক্টর তারক বর্মন বলেন, হাসপাতালের প্রধান গেট দিয়ে গুরুতর অসুস্থ দের নিয়ে আসা যানবাহন এবং এম্বুলেন্স ঢুকতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় ।এমার্জেন্সি গেটের সামনেও একই অবস্থা তাই হাসপাতালে মূল ভবনের মধ্যে যানবাহন না রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তবে রোগী পরিবারদের অসুবিধার কথা ভেবে পৌর প্রধান বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছু সুরাহার ব্যবস্থা করা হবে, প্রধান ঢোকার জায়গা বাদ দিয়ে আপাতত হাসপাতালের পেছনের অংশে রাখা যেতে পারে, তবে তার দায়িত্ব কখনোই নেবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Shantipur Hospital বিকল্প ব্যবস্থা না করেই শান্তিপুর হাসপাতালের তুঘলকি পদক্ষেপ।
CPIM সরকারী সার ও কীটনাশক সাধারণ কৃষকদের না দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার অভিযোগে ডেপুটেশন দিল বামেরা।
যানবাহন সংক্রান্ত দেখভাল করতে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে মূল চিকিৎসা পরিষেবা, তবে কোনদিনই শান্তিপুর হাসপাতালে নির্ধারিত গ্যারেজ ছিলনা, এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আজ হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত অনেক রোগী পরিবারগুলি মেনে নিতে পারছেন না।