নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা :- প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল বন্ধ আর সেই স্কুলের শিক্ষা কর্মী এ বছর ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম উঠল মালদা জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল এর ছেলে যুবরাজ ত্রিবেদীর। স্কুল যবে থেকে বন্ধ হয়েছে তবে থেকে তিনি আর বিরত থাকেননি, ছুটে বেড়িয়েছে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যখন ভরা লকডাউনে যখন মানুষ ঘরের মধ্যে বদ্ধ তখন এই শিক্ষাকর্মী বেরিয়ে পড়েছে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে হাসপাতাল থেকে গ্রামে গ্রামে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েই চলেছেন। পিতা পবিত্র ত্রিবেদী পুরোহিত কিন্তু যুবরাজ সেই দিকের পথে পা না বাড়িয়ে ছোটবেলা থেকে নাটক গান বাজনা নিয়ে থাকতে ভালবাসতেন। বাল্য বিবাহ নিয়ে পথনাটক করে মানুষকে সচেতন করেন বাল্যবিবাহ বন্ধের। বাল্যবিবাহ রোধ করতে কঠোর পরিশ্রম করে পেয়েছে সরকার থেকে বাল্যবিবাহ সংশয় পত্র। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড
পেয়েছে নাটক থেকে বহু সংশয় পত্র। তিনি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছোট ছোট নাটকের মাধ্যমে দিয়ে বাল্যবিবাহের কুফল গুলি মানুষের মধ্যে তুলে ধরেছে পথ নাটিকা এর মাধ্যমে। তিনি যে অঞ্চলের মানুষের জনের সাথে বড় হয়েছেন সেখানকার মানুষেরা নারীদের যে স্বতন্ত্র স্বাধীনতা রয়েছে তা তারা বিশ্বাস করে না,তাই তিনি তার নাটকে নারী স্বাধীনতা এবং মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতার কথা তুলে ধরেছেন। উনার এই কার্যকলাপ শুধুমাত্র চরিঅনন্তপুর গোলাপগঞ্জের সীমাবদ্ধ নয়, মালদা জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের একমাত্র ছেলে সদ্য বিবাহিত যুবক স্ত্রী মা বাবার বারণ না শুনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে মুমূর্ষ রোগীর পথে পাশে দাঁড়িয়েছেন এই দয়াবান মানুষটি। তিনি প্রায়ই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প এর মাধ্যমে শিবির করে মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে চলেছেন।
“ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড” নাম যুক্ত হলো যুবরাজের
তৃণমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে কাউন্সিলারদের সংবর্ধনা
উদার কুসংস্কারমুক্ত মনের মানুষটি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এক প্রেরণা। লকডাউন এর সময় গরিব পরিবারের অনেক মেধাবী ছাত্র পেটের টানে ও পরিবার বাঁচাতে যখন পড়াশোনার ফেলে মুচির কাজ আইসক্রিম বিক্রি করে দিন যাপন করেছিল তখন তিনি আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের আবার পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। জেলায় প্রতিবছর গঙ্গায় ভাঙ্গনের ফলে অনেক মানুষের গৃহহীন হয়ে পড়ে সেখানেও অন্ন,বস্ত্র দিয়ে সাহায্য চালিয়ে গিয়েছেন।তিনি চিরচারিত ধারণা উপড়ে ফেলে নতুন পথ চলতে তিনি ভালোবাসেন তাই তো তিনি নিজের বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে গাছের চারা ও নিজের বিয়েতে স্বামী স্ত্রী অঙ্গদান করে মানুষকে অঙ্গ দানের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাই যে কথায় বড় না হয়ে কাজের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন আর এই অনন্য সম্মান তো সেই মানুষের জন্যই। তাই তো যথা যোগ্য এই সম্যান যুবরাজের।