এবার একটু সচেতনতা বাড়িয়ে ফেলুন নিজের কিডনির প্রতিও, জেনে নিন কোন খাবার খেলে মিলবে উপকার
টিভি ২০ বাংলা ডেস্ক :- আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল বৃক্ক বা কিডনি। বর্তমান সময়ে কিডনির রোগ অনেক বেড়ে গেছে। তাই অন্যান্য অঙ্গের সাথে সাথে কিডনির স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও খুবই জরুরি। বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে ১০ ই মার্চ পালিত হয় বিশ্ব কিডনি দিবস। কিডনির ক্ষতির কারণ, সেই ক্ষতি নিরাময়ের উপায় থেকে শুরু করে কিডনি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি তুলে ধরা হয় বিশ্ববাসীর সামনে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার কিডনি কতটা সমস্যার মুখে?
আসলে কিডনি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বিকল হওয়ার আগে কোনভাবেই এর লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় না। তবে ১) ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া অথবা প্রস্রাব কমে যাওয়া।
২) এছাড়াও মাঝেমাঝে পা বা শরীরের কোনো অংশে ফোলা ভাব।
৩) ত্বকে র্যাশের সমস্যা।
৪) বমিবমি ভাব এবং ৫) পিঠের নিচে দুপাশে ও তলপেটে ব্যথা এসমস্ত লক্ষণ চোখে পড়ার মতো।
আসুন জেনে নিই, কিডনির রোগকে জব্দ করার উপায় : কিডনিকে যেনো এসমস্ত লক্ষণের মুখোমুখিই না হতে হয় তার জন্য সঠিক সময়ে নিতে হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। আসলে কিডনি হল মানব দেহের ছাঁকনি। শরীরের সমস্ত খারাপ পদার্থ বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এবার কিডনি সুস্থ না থাকলে শরীরে থেকে যাবে দূষিত পদার্থ ফলে দেখা মিলবে নানা রোগের। তাই এই ছাঁকনিকে নিখাদ রাখতে গেলে খেতে হবে কিছু পুষ্টিকর খাবার। তারমধ্যে প্রথমেই রয়েছে
তাজা ফল: তাজা ফল কিডনির জন্য খুবই ভালো কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিডনির জন্য উপকারি। তবে খেয়াল রাখতে হবে বেশি পটাশিয়াম যুক্ত ফল যেনো তালিকায় না থাকে তাহলে হতে পারে সমস্যা। তাই আঙুর, আপেল, ক্র্যানবেরির মতো ফল খান যা আপনার কিডনির জন্য উপযুক্ত। কারণ এইসব ফলে পটাশিয়ামের মাত্রা কম।
টাটকা শাক সবজি: শুধু তাজা ফল নয় টাটকা শাক সবজিও আপনার কিডনিকে জোগাবে পুষ্টি। গাজর, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিনারেল ও ভিটামিন তবে কোনোটাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। পরিমিত পরিমাণ খেতে পারবেন। মশলার মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা কিডনির জন্য উপকারী। এ ছাড়া ধনেপাতা, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা ও চিরতা কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মাংস: কিডনিকে ভালো রাখতে যেমন এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল দরকার তেমন দরকার প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনও তাই খেতে হবে মাংস। তবে সাবধান মাংস মানে রেডমিট বা পাঁঠার মাংস নয় চিকেনের কথা বলা হচ্ছে এখানে। চিকেনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তাই কিডনিকে ভালো রাখতে চিকেনের জুড়ি মেলা ভার।
জল: আর বলার হয়তো অপেক্ষা রাখেনা চুল, ত্বক বা যেকোনো অর্গানকে চাঙ্গা রাখতে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। প্রতিটি মানুষের দিনে তিন থেকে চার লিটার জলপান জরুরী। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে জল খেতে হবে মেপে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।