Tv20 Bangla:- চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন রেল শহরের সিমজুড়ি এলাকার বাসিন্দা শ্রীকান্ত সিং এর পুত্র শ্রেয়স সিং নামের এক ছাত্রের মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল। ঘটনার সম্পর্কে জানা গেছে গতকাল ১৬ এপ্রিল শনিবার রাত আটটা নাগাদ শ্রেয়স মেহিজম থেকে প্রতিদিনের মত বাইকে চেপে জিম করে বাড়ি ফিরছিল। আর ঠিক ফেরার পথে অঘটন। মিহিজাম থেকে সে যখন চিত্তরঞ্জনের অশোক এভিনিউয়ে প্রবেশ করে সেই সময় হঠাৎই রাস্তার ধারে থাকা বিশাল একটি গাছের শুকনো ডাল তার মাথায় ভেঙে পড়ে। মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও ওই ডালের ধাক্কায় তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে এবং ক্ষতবিক্ষত হয়েপরে। অশোক এভিনিউ এর রাস্তা ততটা জনবহুল না হওয়ার করবে আহত অবস্থায় শ্রেয়স কে দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল পরে অনেক রাতে পথচলতি কিছু মানুষজন তাকে দেখতে পেয়ে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এবং চিত্তরঞ্জন থানায় খবর দেওয়া হয়। যদিও হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তবে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পরে। জানাজায় শ্রেয়স চিত্তরঞ্জন সেন্ট জোসেফস কনভেন্ট হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর কমার্স বিভাগের ছাত্র। তার বাবা শ্রীকান্ত সিং চিত্তরঞ্জন ডিভি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক। তারা চিত্তরঞ্জন রেল শহরের সিমজুড়ি এলাকার বাসিন্দা। আচমকা ঘটে যাওয়া এই চরম বিপর্যয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্যরা একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রেয়সের বাবা শ্রীকান্ত বাবু একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছেন। পরিবারে মা ও তার বোন দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। শ্রেয়সের বোন নেহা একই স্কুলেরই নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
চিত্তরঞ্জন শহরের বুকে গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের এলাকায় শোকের ছায়া।
স্নান করতে নেমে পাথর খাদানের জলে তলিয়ে গেল দুই যুবক।
স্থানীয় কিছু মানুষের অভিযোগ চিত্তরঞ্জন শহরে এমন বহু গাছ রয়েছে যেগুলো বিপদজনক ভাবে রয়েছে। চিত্তরঞ্জন কতৃপক্ষ সেগুলি কাটার ব্যাপারে কোন হেলদোল নেই। বিভিন্ন রাস্তায় যেভাবে বড় বড় গাছ একদিক থেকে অন্যদিক জুড়ে ছড়িয়ে আছে তাতে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আরও আছে। যদি চিত্তরঞ্জন কতৃপক্ষ ঠিক মত এইসব গাছগুলি নজর দিয়ে আগে থাকতে সরিয়ে ফেলতেন তাহলে হয়তো এভাবে একটি ফুটফুটে জীবনকে যেতে হতনা।