Tv20 Bangla:- উত্তর বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লক।বিগত বাম আমলে এই ব্লক শিল্পাঞ্চলের তকমা পায়। বিগত বাম সরকারের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে ছোট ছোট একাধিক কল-কারখানা। মেজিয়ার জেমুয়া এলাকাতেও ঠিক একই ভাবে গাড়ে ওঠে শোভা স্পঞ্জ আয়রন নামে একটি লৌহ ইস্পাত কারখানা। যে কারখানা বেশ কয়েক বছর পর মালিকানা হস্তান্তরে শ্যাম স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে নতুন রূপ পায়।কয়েক একর জমির উপর নির্মিত এই লৌহ ইস্পাত কারখানায় বর্তমানে ২৫০০ এর বেশি শ্রমিক কর্মরত। এবার সেই কারখানাতেই নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ লৌহ ইস্পাত উৎপাদনকারী এই সংস্থা। জেমুয়া এলাকায় থাকা এই কারখানার ভেতরেই চলছে কারখানা সম্প্রসারণের কাজ। নিজেদের অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি লক্ষ্য প্রায় তিন হাজার শ্রমিকের নতুন কর্মসংস্থানের। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই কারখানার সম্প্রসারণের বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এক জনশুনানির আয়োজন ছিল মেজিয়া বিদ্যাসাগর কমিইউনিটি হলে।
উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী, মেজিয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ ব্যানার্জি, রাজ্য পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিক অরূপ দে ,শালতোড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরি,মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রবিলোচন গোপ,মেজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত গোপ সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সামনে শ্যাম স্টিল মানুফাকচারিং লিমিটেডের তরফে জনসাধারণের উদ্দেশে কারখানা সম্প্রসারণের একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। যে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান, আর্থসামাজিক কাজ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক বিষয়। জনশুনানিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা ফটিক গরাই,করুণা গরাই দের দাবি এই কারখানা আগামীদিনে সম্প্রসারণের পর যাতে স্থানীয় জনসাধারণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় এবং এই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি মতো যেন দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখে তার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান।
তিন হাজার নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে জনশুনানীর আয়োজন জেমুয়া শ্যাম স্টিল মানুফাকচারিং লিমিটেডের।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক যুবক।
কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কারখানার আধিকারিক লক্ষীকান্ত ঘোষ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সামনে জনসাধারণের দাবিগুলি আগামী দিনে মেনে চলার অঙ্গীকারবদ্ধ হন। বলাবাহুল্য এত বৃহৎ এক সংস্থা যদি আগামী দিনে এই এলাকায় সঠিকভাবে নিজেদের কারখানা সম্প্রসারণ করতে সমর্থ হয় তাহলে মেজিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় যে একটা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে সেটা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না।