মাধব দেবনাথ, নদীয়া:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর ২৪পরগনার এক ব্যক্তি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্যান কমিউনিটির পক্ষ থেকে আজ শান্তিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্যান কমিউনিটির পক্ষ থেকে অমিত সাহা জানিয়েছেন,’ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার এক অভিষেক চক্রবর্তী ব্যক্তি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তার প্রতিবাদে আমরা রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকার থানাতেই অভিযোগ জমা দিচ্ছি। সেইমতো আজ শান্তিপুর থানাতেও অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এধরনের কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে, দোষীদের শাস্তি দিতে সমর্থ হয়েছে প্রশাসন, তাই এবারও আশাবাদী আমরা।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়ানোর প্রতিবাদে শান্তিপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের।
MORE NEWS – এক মহিলার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।
নদীয়া, মাধবদেবনাথ:- ঘরের ভেতর থেকে এক মহিলার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন আগে মৃত্যু হয় ওই মহিলার, যার কারণে পঁচে দুর্গন্ধ বের হয়। ঘটনাটি শান্তিপুর থানা এলাকার সুত্রাগড় অঞ্চলের মুন্সিপাড়া এলাকায়। জানা যায় ওই এলাকার দুই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা শিপ্রা মুন্সি, ও গীতা মুন্সি,বোন শিপ্রা মুন্সি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিছানা সজ্জা ছিলেন। দিদি গীতা মুন্সি মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও মাঝেমধ্যে ঘরের বাইরে বেরিয়ে অন্যান্য কাজ করতেন, কিন্তু গত দু’দিন ধরে দুই বোন কাউকেই ঘরের বাইরে বের হতে দেখেনি এলাকার লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন দুই মহিলার ঘরের ভেতর থেকে হঠাৎই দুর্গন্ধ বেরোতে টের পায় এলাকার মানুষ।
সন্দেহ হওয়াতে ফোন করে শান্তিপুর থানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ এরপর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখে শিপ্রা মুন্সি বয়স আনুমানিক ৫৯ বছর ঘরের ভেতরেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গত চার থেকে পাঁচ দিন আগে মৃত্যু হয় ওই মহিলার, যার কারণে মৃতদেহের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। স্বভাবতই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, মৃতদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যদিও ওই মৃত মহিলার দিদি গীতা মুন্সি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে বোন শিপ্রা মুন্সির কখন মৃত্যু হয় বুঝতে পারিনি বলে জানান, এলাকাবাসীরা।