নিশীথ দাস, TV-20 বাংলা:- তৃণমূলই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলবে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে, এমনই আশঙ্কা করছেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁর ধারণা,উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে আর ফেরা হবে না তাঁর। বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে অনুব্রত মন্ডলকে মেরে ফেলা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, এমনটাই মনে করেন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। উত্তর চব্বিশ পরগনার চাঁদপাড়ায় বিজেপি নেতার এরকম বিতর্কিত ও বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে উথালপাতাল গোটা রাজ্য রাজনীতি। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের তরফে স্বপন মজুমদারের বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার রাজনৈতিক শালীনতার গণ্ডী অতিক্রম করে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, বগটুই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন উডবার্ন ওয়ার্ডে “পেট ফুলিয়ে’ শুয়ে আছেন। “আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত কে ওই উডবার্ন ওয়ার্ড আর থেকে ফিরতে দেবেন না,”। বিষপ্রয়োগ করে,বিষপ্রয়োগ করে
তাঁর অভিমত।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যদি তৃণমূল তাঁকে ফিরতে দেয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের যত কুকর্ম আছে সব সিবিআই এর কাছে উগরে দেবেন অনুব্রত। বিজেপি নেতার আরও ধারণা, অনুব্রত মুখ খুললেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যায় পড়বেন।জেলে যেতে হবে তাঁদের সবাই কে। আসলে তিনি অনুব্রত মন্ডলকে আক্রমণ করে নিশানা করেন তৃণমূলকে। তিনি বলেন, উডবার্নে ভর্তি হয়ে সিবিআই এর হাত থেকে পার পাওয়া যাবে না। তাঁর আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য, আগামী দিনে জনগণই গণধোলাই দিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বের করে দেবে এরকম নেতাদের। এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, ভিত্তিহীন কথা বার্তা বলছেন বিজেপি বিধায়ক।
বিষপ্রয়োগ করে খুন করা হবে অনুব্রতকে, আশঙ্কা বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের।
বিজেপি নেতা স্বপন মজুমদারকে পাল্টা আক্রমণ করে তিনি বলেন আইনের প্রতি তাঁরা পূর্ণ আস্থাশীল। “একজন অর্ধশিক্ষিত জাল সার্টিফিকেট নিয়ে বিধায়ক হয়েছে স্বপন মজুমদার” স্বপন মজুমদারের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন। রাজনৈতিক চাপানউতোর এখন ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে নামতে শুরু করেছে।