নিজস্ব সংবাদদাতা :-
আজ সকাল থেকেই বৈতল গোপেশ্বর পাল বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছাত্রীদের মনের আকাশে হৃদয় বিদারক কান্নার আওয়াজ শোনা গিয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরের কমবেশি মাননীয় প্রভাত চন্দ্র মন্ডল মহাশয়ের অগাধ ভূমিকায় ও কর্মঠ মনোভাবের জেরে অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিত্ব এই বৈতল গোপেশ্বর পাল বিদ্যাপীঠ থেকে বের হয়েছেন। এমনকি এই ১২ বছরের প্রধান শিক্ষকের ভুমিকায় এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের অষ্টম স্থান অধিকার করেছে এই বিদ্যালয়। পাশাপাশি জয়পুর ব্লকের বিভিন্ন জুনিয়র ও হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এই বিদায় অনুষ্ঠানে।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাননীয় জাকির খান মহাশয়রা উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাঞ্জল করে তুলেছেন। পূর্ববর্তী দিন গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা থাকতো একটু কম কিন্তু আজ যেন পুরো কনফারেন্স হলে ঢোকা মুশকিল বললে বোধহয় ভুল কিছু বলা হবে না।
মাননীয় প্রধান শিক্ষক বলেন- আমি থাকা অবস্থায় স্কুলের দেওয়ালের রঙ করে যেতে পারলাম না কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই এই বৈতল গোপেশ্বর পাল বিদ্যাপীঠ তোমরা দেখবে ঝা চকচকে হয়ে যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে কত টাকা আসবে তাও তিনি বলে যান।
বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাননীয় জাকির খান মহাশয় বলেন- কালের নিয়মে পদের পরিবর্তন হয়ে থাকে তা আমাদের সাদরে গ্রহন করতে হবে।তিনি কোরআন শরীফ থেকে একটি আয়াত বলেন এবং সকল ছাত্রছাত্রীদের বলেন তার ব্যাখ্যা।
স্কুলের অন্যতম শিক্ষিকা জয়ন্তী ম্যাডাম যিনি বায়োলজির শিক্ষিকা, তিনি বলেন খুবই ভালো লাগছে আজ যাদের আসার কথা ছিলো না তারাও এসেছেন কিন্তু একটা মিস করার বিষয় তো থেকেই যাচ্ছে।
এছাড়াও মাননীয় মৃনাল কান্তি মিদ্যে বলেন প্রায় একযুগ স্যারের সহকর্মী হিসাবে কাজ করেছি এবং স্যারকে কোনোদিন কোনো নিয়মের জন্য কম্প্রোমাইজ করতে দেখিনি। কিন্তু যা হৃদয় যেনো মানতে চাই না স্যারের এই বিদায় বেলা।
এছাড়াও আরো বিশিষ্ট সম্মানীয় মানুষদের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়ার মতো।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমির সিংহ রায়দের মতো শিক্ষক এবং কর্মঠ মনোভাবের ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গ ।।