Tuesday, March 25, 2025
- Advertisement -

শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীরকে কেন্দ্র করে সৎ দাদার হাতে নৃশংস ভাবে খুন হতে হলো ভাইকে । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ।

- Advertisement -

পার্থ ঝা , মালদা :- ১৬মার্চ: শরিকি রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর দেওয়া কে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ । আর এই বিবাদের জেরে সৎ দাদার হাতে খুন হতে হল ভাইকে। ভাই কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল সৎ-দাদার বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুলে মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম(৫২)। ওই ঘটনায় পুলিশ মতিয়ুরের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সাফাতুল্লাহ কে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পাশাপাশি বাড়ি জাহাঙ্গীর ও সৎ-দাদা মতিউর রহমানের। শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীর ঘিরে দুই পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। এদিন ওই রাস্তা দিয়ে জাহাঙ্গীর ইট নিয়ে বাড়ির পিছন দিকে যেতে চাইলে গন্ডগোল বেধে যায় দুই পরিবারের। এদিন সন্ধে থেকে দুই পরিবারের ফের বচসা শুরু হয়।

ওই সময় জাহাঙ্গীরকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে মতিয়ুর পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির স্ত্রী খাইরুন বিবি জানান আমাদের দুই বাড়ির মাঝখানে একটি রাস্তা আছে। সামনে মেয়ের বিয়ে। বাড়ির সামনে ইট বোঝাই করে রাখা ছিল। আমার স্বামী আজকেও ইট দুই বাড়ির মাঝখানে রাস্তা দিয়ে বাড়ির পিছন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে। কিন্তু ওই রাস্তার মধ্যে আমার স্বামীর সৎ দাদার পরিবার একটি খুঁটি পুঁতে রেখেছিল। আমার স্বামী ওদের জানায় খুটি টা উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির পেছনদিকে ইট পৌঁছে দিয়ে আবার খুঁটি আগের মতোই পুথে দেবে।

শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীরকে কেন্দ্র করে সৎ দাদার হাতে নৃশংস ভাবে খুন হতে হলো ভাইকে । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ।

কিন্তু এই কথা বলতে যেতেই আমার স্বামীর সৎ দাদা মতিউর এবং তার ছেলে সাফাতুল্লাহ দুজনে মিলে আমার স্বামীর উপর আক্রমণ করে। দুজনে মিলে বাঁশ দিয়ে নিশংস ভাবে আমার স্বামীকে পেটায়। তারপরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আমি চাই আমার স্বামীর খুনিদের সাজা হোক। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে ছিল। এখন কিভাবে কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। মৃত ব্যক্তির শ্যালক নুরুল ইসলাম জানান আমার জামাই বাবুর সৎ দাদা এবং ওর পরিবার মিলে নিশংস ভাবে আমার জামাইবাবু কে মেরে ফেলেছে। সৎ দাদা মতিউর পলাতক। আমরা চাই অবিলম্বে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উজির হোসেন জানান ওই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। আজ এই নিশংস ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা গ্রাম। আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক। এদিন ওই মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শুভেন্দু ভক্ত জানান হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসনের হাতে দেহ তুলে দিয়েছি।

More News ⏺️ চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর অভিযোগের তীর পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে

টিভি 20 বাংলা ডেস্ক :-  চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে ভাঙচুর। ভেঙে ফেলা হয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার সহ চেয়ার। চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রধান বিজেপি দলের এবং উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের। সবকিছু ভাংচুরের জন্য দায়ী করা হয়েছে চৌকি মিরদাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মাহাতাব  কে।

তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে

তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে তিনি উপপ্রধান সাজিদ এবং অপর পঞ্চায়েত সদস্য অভিরাম মন্ডলকে ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। তার এই সমস্ত কথা রেকর্ড রয়েছে। অমল স্বর্ণকার পি এল ভি, মিঠুন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, রবিউল ইসলাম সুপারভাইজার স্বচক্ষে দেখেছেন যে  পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মাহাতাব পঞ্চায়েত অফিসে এসে গালাগাল করেছে এবং কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে শুরু করে চেয়ার ভাঙচুর করেছে।

বসন্ত উৎসব সবারে করি আহ্বান সংস্থার উদ্যোগে

উপপ্রধান সাজিদ বলেন আমি বাড়িতে ছিলাম তখন এক পঞ্চায়েত কর্মী আমাকে ফোন করে অফিসে ভাঙচুর হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছুটে আসি এবং দেখি সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ আমরা খবর দিয়ে মানিকচক পুলিশ প্রশাসনকে। মানিকচক পুলিশ প্রশাসন তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চৌকি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসামি তুষার সাহা জানান আমাকে সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোনে গালিগালাজ করে তারপরে পনে দুটো নাগাদ শুনি এরকম ভাঙচুর হয়েছে। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মাহতাব আলি পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন আমি যখন পঞ্চায়েত অফিসে যাই তখন কেউ ছিলনা। ভাঙচুরের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments