ওয়েব ডেস্ক :- সারা রাজ্য জুড়ে যেভাবে দুর্নীতি চলছে ঠিক এই সময়ই খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনকেও নিয়োগ দুর্নীতির পক্ষে টেনে আনার চেষ্টা করলেন। এমনকি রাজ্য সরকার যে ইচ্ছাকৃত কোনো ভুল করেনি তা বোঝাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল সরকার। সোমবার বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দোপাধ্যায়, তবলাবাদক পণ্ডিত অনিন্দ্য চ্যাটার্জী, প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক আবুল বাশার, নাট্য অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, শিল্পপতি রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওয়াটিয়া বঙ্গবিভূষণ সম্মান নিয়েছেন। সেই মঞ্চে নোবেল বিজেতা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় আসতে পারেননি। এসেছিলেন তাঁর মা। পুত্রের হয়ে তিনিও মমতা ব্যানার্জীর হাত থেকে চলতি বছরের বঙ্গবিভূষণ সম্মান গ্রহণ করেন। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপ্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারীরাও। সেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলার চেষ্টা করেন যে তিনি বা তাঁর দল কোনোরকম ভুল করেনি। এমনকি বিশিষ্টদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানিয়ে তিনি তাঁদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনারা বলুন আমাকে, কোনো চাকরি ক্ষেত্রে ১০০ জনের চাকরি দিতে গেলে ১ টা নিজের লোককে দেওয়া কি যায় না?” তিনি আরও বলেন, আপনারাও তো প্রতিষ্ঠান চালান, কাকে রাখবেন, কাকে নেবেন, সেটা তো আপনাদের চয়েস। কোনো সাংবাদ মাধ্যম কি বলতে পারবে তারা খুব আইন মেনে চলে? আমরা তবুও আইন মেনে চলি। এই প্রসঙ্গে সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনদের সামনেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ” আমি এক পয়সাও কারোর খাই না। ১১ বছরের সময়ে সাংসদ হিসেবে মাসে ১ লক্ষ টাকা করে পেনশন পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাসে ২ লক্ষ টাকা পেতেই পারি। কিন্তু আমি সেবাশ্রম দিই। ১২০ টা বই আছে, বেশ কিছু বেস্টসেলার গানে সুর দিয়ে কখনও কখনও কিছু রোজগার করি। অবাক হওয়ার ভঙ্গিমায় তিনি আরও বললেন, এখন ভাইরালের যুগ। এক লাখ ছেলে মেয়ের চাকরি হল তাতে অভিযোগ করলো। এতদিন জানতেও পারলাম না। এত যে টাকা উঠলো আমি তো জানবো। কোনো টেলিভশন মিডিয়াও জানায়নি। জানলে তো তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার যথাযথ শাস্তি নেওয়া হবে। তিনি আরও বললেন, ” যদি আমার গায়ে কাঁদা ছোড়ার চেষ্টা করো তাহলে আমার হাতেও আলকাতরা আছে।” পার্থ কাণ্ডে এভাবেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজেকে ও তাঁর দলকে বাঁচাতে মাঠে নামলেন বলে মনে করা হচ্ছে।