ওয়েব ডেস্ক :-
২২শে জুলাইয়ের ঠিক পাঁচদিনের মাথায় অর্থাৎ গতকাল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয় এক কোটি দুই কোটি নয় নগদ প্রায় ২৮ কোটি টাকা। টাকাগুলি পাওয়া যায় শোবার ঘর এবং শৌচাগার থেকে। টালিগঞ্জের আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০লক্ষ টাকা অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাওয়া গেল ৫০ কোটিরও বেশি।
এত টাকা একসাথে সাধারণত বলিউড-টলিউডের সিনেমায় দেখানো হয় কিন্তু বাস্তবেও কি এটা সম্ভব? মুড়ি মুড়কির মতো হাজারো প্রশ্ন ভেসে আসছে সবার মনে। কোথা থেকে এল এত টাকা? তবে এত টাকা থাকা সত্ত্বেও ওই আবাসনে কেউ বসবাস করতেন না, মাঝে মাঝে আসতেন পার্থের ঘনিষ্ঠ। ইডির আধিকারিকরা গতকাল ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতেই আলমারির লকারে পান ছড়িয়ে থাকা টাকার বান্ডিল এবং প্যাকেটে মোড়ানো টাকা। অফুরন্ত টাকা দেখে প্রথমে পাঁচটি টাকা গোনার মেশিন আনা হলেও তাতে শেষ করা যায়নি গোনার কাজ, পরে রাতে আনা হয় আরো চারটি মেশিন অর্থাৎ মোট ৯ টি মেশিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে টাকা গোনার কাজ চলে। শুধু টাকা নয় মিলেছে ৩কেজি সোনাও । টালিগঞ্জে যেমন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার স্তূপীকৃত নোটের পাশাপাশি চত্তড়া সেলোটেপ মোড়ানো টাকার বান্ডিল পাওয়া গিয়েছিল, বেলঘরিয়াতেও তাই। ওই ধরনের বান্ডিল হাওয়ালায় টাকা পাচারে ব্যবহার হয়ে থাকে বলে এখানেও তার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ইডি আধিকারিকরা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মডেল অভিনেত্রী অর্পিতা গ্ৰেফতার হত্তয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সহায়তা করেছেন বলে ইডি সূত্রের খবর। তিনি জানান তাঁর এবং অন্য একজন মহিলার বাড়িতে মিনি ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতেন শিল্পমন্ত্রী। অবশ্য তিনি কখনও নিজে টাকা রাখতে আসতেন না। ১০-১৫ দিন অন্তর লোক মারফত টাকা পাঠাতেন। তার মধ্যে শিক্ষা দফতরের লোকজন ও থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের থেকে নানা মন্তব্য উঠে আসছে ‘মর্নিং ওয়াক করার সময়ও কারো সাথে কথা বলত না, এত দেমাক ছিল ‘। প্রতিবেশীরা আরো জানান রক্ষনাবেক্ষণের জন্য ৬০ হাজার টাকা বকেয়া ছিল , দুর্গা পূজার সময় ২০০০ টাকা চাঁদা পর্যন্ত দিতেন না।
দুর্নীতির জেরে টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ১২৫৯ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে খবর। অর্থাৎ ১২৫৯ জন ১০ লক্ষ করে দিলে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ১২৫ কোটি। অর্থাৎ আরো টাকা পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।