প্রতিনিধি সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া :- এবার হাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধা মহিলার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হলো। রবিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সোনামুখী থানার কোচডিহি পঞ্চায়েতের বুড়ি আঙ্গারি গ্রামে। মৃত মহিলার নাম লক্ষী সরেন। বয়স 56 বছর। বাড়ি বুড়িআঙ্গারি গ্রামে। স্থানীয় সুত্র জানতে পারা যায় , মৃত ওই মহিলা জঙ্গলের ধারে ধান জমিতে ধান কাটছিলেন সেসময় আচমকাই জঙ্গল থেকে একটি হাতি বেরিয়ে আসে এবং আশেপাশের লোকেরা ছুটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মৃত বৃদ্ধা মহিলা ছুটে পালাতে পারেনি আর তখনই ওই মহিলাকে হাতি সুরে পেচিয়ে মাটিতে আছাড় মারলে গুরুতর আহত হন তিনি এবং খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনামুখী বন দপ্তরের আধিকারিকরা ও সোনামুখী থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ আহত ওই বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনায় বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে সোনামুখী জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের। তার ওপর রবিবার হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা রীতিমতো সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গল সরেন নামের এক গ্রামবাসী জানান, রাত হলেই হাতির আতঙ্ক গ্রাস করছে আমাদের। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই আবেদন হাতি গুলোকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। এ বিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তী আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয় জানান, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ আমরা তার স্বামীর হাতে তুলে দেব। হাতি গুলিকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
হাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধা মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হলো
More News – বিশ্ব শিশু দিবসে হারিয়ে যাওয়া শৈশব ফিরিয়ে আনতে অভিনব প্রচেষ্টা
নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর :-শিশু দিবস বলতে আমরা বুঝি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বা বিভিন্ন সংস্থা গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, উপহার দেওয়া, সব মিলিয়ে একটা হই-হুল্লোড়ের পরিবেশ। কিন্তু আমরা ভুলে যাই এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাইরে থাকা সেইসব নিষ্পাপ, সরল মুখ গুলোকে, যারা এইসব রমরমা থেকে অনেক দূরে এক কোনে নিজেদের দৈনিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। Continue Reading