ইনামূল ভূঁইয়া, জয়পুর :- বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাম শরিক দল ও সাধারণ মানুষের তৎপরতায় জয়পুর হাটতলা থেকে বামেরা পথযাত্রা করে অবগত করান যে আগামী ২৮ ও ২৯ তারিখ সারা ভারত “সাধারণ বন্ধ” ঘোষণা করেন। নেতৃত্ব বৃন্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মানিক রায়, ক্রান্তি মুখার্জি সহ অন্যান্য ব্যাক্তিত্বরা ।রামপুরহাটে যে হত্যালীলা ও আনিস খুনের বিচারের দাবির সাথে সাথে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এর জন্য প্রতিবাদী হোন বামেরা। বিজেপি ও তৃণমূল এর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এখানে স্লোগান উঠেছে ” জেনে গেছে,জেনে গেছে জনতা,খুনি মমতা”। এরকম নিত্য নতুন স্লোগান উঠেছে জয়পুরের রাস্তায় রাস্তায়।গত ২ মাস কাটতে না কাটতেই ছোটো আঙারিয়ার মতো একটা ঘটনা ঘটে গেছে বীরভূমের মাটিতে যা অত্যন্ত ঘৃন্ন এই বিষয়েও মুখ খুলেছেন মানিক রায়।ধর্মঘটের সমর্থনে,ধর্মঘটের সমর্থনে
২৮ ও ২৯ ধর্মঘটের সমর্থনে বামেদের জয়পুরে মিছিল।
MORE NEWS – লক্ষ লক্ষ দরদী মানুষের আগমন ওলীর দরবারে।
ইনামূল ভূঁইয়া,জয়পুর :- সারা রাত্রি ব্যাপি ৫২ তম ইসলামিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হলো আজ বাঁকুড়া জেলার জয়পুর পর্যটন কেন্দ্রের বিতর্কিত উত্তরবাড় পঞ্চায়েত এলাকার বনপোদুয়া নামক গ্রামে। হযরত কালসাদেওয়ান রাহমাতুল্লিল আল-আমীন ও এই স্থানে কবরস্থ বিভিন্ন মুসাফির এর উদ্দেশ্য করে মিলাদ চলে আসছে প্রায় পঞ্চম যুগ ধরে।২০২১ সালে এই মিলাদ বন্ধ রাখা হয়েছিল প্রশাসনের তৎপরতায় কোভিড এর কারণে। প্রতি বছরই প্রায় ১ লক্ষের কমবেশি পীর ও ওলীর অনুসারী ব্যাক্তি বর্গগণ হাজির হোন তাদের অতি মূল্যবান কর্ম বিরতি করে। শুধু কি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিমরা এখানে আসে?তা কিন্তু মোটেই নয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০-২৫% উপস্থিত থাকেন ও তিনাদের মানত বা মানসিক্ পুরন করেন ও মিলাদের রান্না খিচুরী খেয়ে বাড়ি যান। খিচুরী রান্নার জন্য মানুষের অভাব হয় না আর এই খাবার সবাই পেয়ে থাকেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সুদূর কোলকাতা, দুই মেদিনীপুর,হুগলি , বাঁকুড়া, বারাসাত ও আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের সমাগম ঘটে যা নজর কাড়ার মতো।
প্রতিবছর প্রসাশনের সাহায্য ও সহযোগিতা একটু আধটু থাকলেও এবারে একটু অন্য রকম ব্যাবস্থাপনা করেছে বিষ্নুপুর মহকুমা এর এসডিপিও কুতুবুদ্দিন খান মহাশয়।গত কাল অর্থাৎ ২৪ এ মার্চ তিনি এলাকার অধিবাসী ও ইমাম সাহেবদের সাথে বাক্যলাপ করেছেন। সব কিছু বোঝার পর আজ অর্থাৎ ২৫শে মার্চ পুলিশ বাহিনী সুরক্ষার খাতিরে মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা ও পুরুষ দুই।মহিলা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে 41 । 270জন সিভিক পুলিশ,এনভিএফ 60 এবং উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক 9 জন। জয়পুর থানার পুলিশ আছে 27জন, তথ্য আদান প্রদান এর জন্য 43 জন ।মোট 450জন। এমনিতেই এই মিলাদ খুব শান্তি পূর্ণ ভাবেই শেষ হয় তবুও এতো ভেবেছেন প্রসাশন এটা আমাদের সৌভাগ্য এমনটাই জানা যাচ্ছে গ্রামবাসী ও অন্যান্যদের থেকে।