মালদা, বিশ্বজিৎ মন্ডল:- অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়ম ও শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খালি বাটি ও থালা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর অভিভাবকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর পূর্ব পাড়ায়। অভিযোগ উঠেছে ওই সেন্টারের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শিশুর মায়েদের অভিযোগ, অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে গত চারদিন ধরে ওই কর্মী সেন্টারে আসছেন না। প্রসূতি মা ও শিশুরা সেন্টার থেকে খালি হাতে ঘুরে যাচ্ছে। সরকারি তালিকায় প্রতিদিন ডিম দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয় না বলে অভিযোগ। ডিম চাইতে গেলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও সেন্টার থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরকারি তালিকায় তিন দিন ডিম ও খিচুড়ি এবং তিন দিন ভাত ও ডিম দেওয়ার নির্দেশিকা থাকলেও শুধু খিচুড়ি ছাড়া কিছুই দেই না ওই কর্মী। এত নিম্নমানের খিচুড়ি যা মুখে দেওয়া যায় না বলে অভিযোগ। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ওই কর্মী চাকুরীজীবী স্বামীকে সঙ্গে করে সেন্টারে নিয়ে আসেন এবং খাওয়া বন্টনের সময় শিশুরা চিৎকার চেচামেচি করলে প্রসূতি মা, অভিভাবক ও শিশুদের নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী চৌধুরী জানান, তার মা অসুস্থ থাকার কারণে কলকাতা মেডিকেলে ছিলেন তাই সেন্টারে যেতে পারেনি। গত চার দিনের খাবার পরবর্তী দিনে দিয়ে দিবেন বলে জানান।তার স্বামী তাকে একটু সহযোগিতা করার জন্য সেন্টারে যাই। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে জানান।সুপারভাইজার তপতী জানান লিখিত অভিযোগ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
নিম্নমানের খাবার ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে খালি থালা ও বাটি নিয়ে বিক্ষোভ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীর বিরুদ্ধে।
MORE NEWS – ঈদ মিলন উৎসবে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ এসে মিলে গেল এক মঞ্চে।
পার্থ ঝা,মালদহ,৪ মে:- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা মার্কেটে অনুষ্ঠিত হল ‘ঈদ মিলন উৎসব’। এলাকার মানুষকে সম্প্রীতির বার্তা দিতে ও ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে এই উৎসবের আয়োজন বলে জানান ঈদ মিলন উৎসব কমিটির সভাপতি মহম্মদ মিজানুর হক। তিনি আরো জানান,২০১৯ সালে প্রথম এই ঈদ মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়। করোনার কারনে দুই বছর এই উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। CONTINUE READING