‘শিল্পী বয়কট’ নিয়ে দুই মেরুতে অভিষেক ও কুনাল
বিতর্ক শুরু হয়েছিল আর জি কর কান্ড থেকেই। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যে শিল্পীরা পথে নেমেছিলেন তাদের বয়কট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ। আবার গণতান্ত্রিক রীতি মেনে অভিষেক বলেছিলেন, শিল্পীর স্বাধীনতায় হাত দেওয়ার পক্ষে তিনি নন। তাই তিনি শিল্পী বয়কটের বিপক্ষে। এই নিয়েই শুরু হয়েছিল দুই নেতার বাকযুদ্ধ।
নিজের অবস্থানে অনড় থেকে বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানি, তিনি বয়কটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন।” পাল্টা মুখ খুলে কুণাল ঘোষ বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অন্যের মুখে শুনব না।” স্বাভাবিক কারণেই দুই শীর্ষ নেতার এই বাক-যুদ্ধ রসিয়ে উপভোগ করছেন বঙ্গবাসী।
বুধবারই প্রকাশ্যে এসেছে এই দুই নেতার বিবৃতি। ফলতা থেকে অভিষেক বলেছেন, “আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি, ছোটবেলা থেকে দেখেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বয়কট, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, সরিয়ে দাও, হঠিয়ে দাও, এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না।” আর কাল বিলম্ব না করে কিছুটা ব্যঙ্গের সুরেই কুনাল ছুঁড়ে দিয়েছে তার কথা – “এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ নেত্রী। তিনি যা বলবেন মাথা পেতে নেব। এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে কোনও কথা শুনি নি। ফলে তিনি কী ভাবছেন, সেটা নিশ্চয়ই আর এক জনের মুখ থেকে শুনব না।” এবার আবার সামনে চলে এলো তৃণমূলের ‘নবীন-প্রবীণ’ দ্বন্দ্ব।

